এমএসজি বললেই আমাদের চটজলদি মনে পড়ে যায় চিনে খাবারের কথা
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট— এই দুটো শব্দ ভীষন অচেনা বলে মনে হলেও এমএসজি বললেই আমাদের চটজলদি মনে পড়ে যায় চিনে খাবারের কথা। বিশ্বের সব খাদ্যরসিক মানুষই বোধহয় চাইনিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন। এঁদের অনেকেই আবার দেশ-বিদেশের খাবার চেখে দেখার আগে তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণাও করে থাকেন। কোন রান্নায় কী কী উপকরণ ব্যবহার হয়, কোন মশলার উপকারিতা কী, আর কোন খাবারে কী ব্যবহার করা উচিত না— এই সব তথ্যই এখন প্রযুক্তিবান্ধব বাঙালির হাতের মুঠোর মধ্যে থাকে। এম এস জি বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহার করা নিয়েও রয়েছে বেশ কিছু ধারণা। লবণের মতন দেখতে সাদা স্ফটিকাকার এই উপকরণটি যে কোনও চীনে খাবারের স্বাদ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। রাস্তার ধারের খাবারের দোকানে ব্যবহার হলেও বহু নামকরা চাইনিজ রেস্তরাঁর ওয়েবসাইটে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসাবে লেখা থাকে যে সেখানকার খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহার করা হয় না। কারণ এমএসজি-র অপকারিতা নিয়েও নানা রকম মত রয়েছে। এর কতটা সত্য এবং কতটুকুই বা গুজব, তার উত্তর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট
১। নিয়মিত না হলেও মাঝে মধ্যে রান্নায় থাকা অল্প পরিমাণে এমএসজি শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। অবশ্যই যদি কোনও অ্যালার্জি না থাকে।
২। গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং হৃদ্রোগীদের ডায়েটে এমএসজি না থাকাই ভাল।
৩। এমএসজি অতিরিক্ত পরিমাণে দেহে প্রবেশ করলে ওজন বাড়া, খিদে বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, মাথার যন্ত্রণা, দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হয়।
৪। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের রোজকার অনেক খাবারেই মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট উপস্থিত থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংরক্ষণ করা খাবারে এই উপকরণটির উপস্থিতি স্বীকার করা হয়।