বহু বলি তারকা কেন ভিগান খাদ্যাভ্যাস মেনে চলছেন? ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ভিগান’ খাদ্যাভ্যাস। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ— উভয়ের জন্যই এই খাদ্যাভ্যাস ভাল বলে দাবি করা হচ্ছে নানা মহলে। আলিয়া ভট্ট থেকে রিচা চড্ডা, জেনেলিয়া ডিসুজ়া থেকে রীতেশ দেশমুখ— বলি তারকাদের মধ্যে অনেকেই এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চলছেন বেশ কিছু বছর ধরে। মাংস তো বটেই, ডিম বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারও খাওয়া যায় না এই খাদ্যাভ্যাসে। ভিগানিজ়ম একটি স্বতন্ত্র জীবনশৈলী। শুধু খাদ্য নয়, প্রাণী ও প্রাণীজাত সব পণ্যই বর্জন করা হয় এই জীবনধারায়। নিরামিষাশীরা যখন প্রাণীজাত সমস্ত খাবার ও পণ্য বর্জন করেন, তখন তাঁদের ভিগান বলে। অনেকের ধারণা, ভিগান ডায়েট মেনে চললেই ওজন ঝরানো সম্ভব। আদৌ কি এই ধারণা ঠিক?
বিভিন্ন গবেষণা বলছে এই ডায়েট মেনে চললে ওজন ঝরানো সম্ভব। শাকসব্জি এবং ফল ভিগান খাদ্যাভ্যাসের অপরিহার্য অংশ। এতে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি, তবে ক্যালোরির মাত্রা কম। শাকসব্জি এবং ফলের এই গুণাগুণ সহজেই পেট ভরিয়ে দেয়, অনেক ক্ষণ পেট ভরাটও রাখে। পেট ভরাতে অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয় না। এর ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। গবেষণা বলছে, আর পাঁচটা ডায়েটের তুলনায় এই ডায়েটে ক্যালোরি গ্রহণ বেশ কম হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শাকসব্জি এবং ফল ভিগান খাদ্যাভ্যাসের অপরিহার্য অংশ। ছবি: সংগৃহীত।
ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স প্রক্রিয়া শরীরে গ্লুকোজ়কে সঠিক ভাবে ভাঙতে দেয় না। এর ফলে ওজন বেড়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভিগান খাদ্যাভাস অন্ত্রে হজমে সাহায্যকারী ব্যাক্টেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে, এমন হরমোন ক্ষরণ করে, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সব মিলিয়ে ওজন বাগে রাখতে এই খাদ্যাভাস বেশ উপকারী।
এই ডায়েট মেনে চললে ত্বক ভাল থাকে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, মন-মেজাজ ভাল থাকে, আর্থারাইটিসের সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে।