ওষুধ ছাড়া ১০ মিনিটেই পাবেন মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
মাথার এক দিকে সইতে না পারা যন্ত্রণা, সঙ্গে গা গুলিয়ে ওঠা— মাইগ্রেন থাকলে এই সব সমস্যার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। এই রোগ মূলত জেনেটিক, তবে রোজের জীবনে কিছু খারাপ অভ্যাসও মাইগ্রেনের সমস্যা ডেকে আনে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া, কম ঘুমোনো, জল কম খাওয়া, দীর্ঘ ক্ষণ খালিপেটে থাকার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। এ ছাড়া, দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে ও মরসুম বদলের সময়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হন অনেকেই। আর মাইগ্রেনের ব্যথা হলেই অনেকে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে ফেলেন। দীর্ঘ দিন বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
ওষুধ ছাড়া কী করে রেহাই পাবেন এই সমস্যা থেকে?
মাথা যন্ত্রণার সময়ে ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখলে আপনি সহজেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন আর শরীরের উপর কোনও ক্ষতিকর প্রভাবও পড়বে না। গরম জল আপনার পায়ের রক্তনালিগুলিকে প্রসারিত করবে, ফলে মস্তিষ্ক থেকে পায়ে রক্ত চলাচলের পথ সুগম হয়, মাথায় রক্তচাপ কমে। ব্যথা থেকে উপশম মেলে। এ ক্ষেত্রে মিনিট দশেক পা ভিজিয়ে রাখলেই উপকার পাবেন। মানসিক চাপ আর উদ্বেগ থেকেও মাইগ্রেনের অ্যাটাক হতে পারে। গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে মন শান্ত হয়, আর যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
মাথা যন্ত্রণার সময়ে ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখলে আপনি সহজেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে আর কী কী টোটকা কাজে আসে?
১) কাজের মাঝে বিরতি নিয়ে চোখকে বিশ্রাম দিন। একটানা দীর্ঘ ক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
২) সারা দিনে প্রচুর জল খেতে হবে। অন্তত তিন থেকে চার লিটার।
৩) যে কোনও রকম মানসিক চাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন, নিয়ম করে ধ্যান, যোগাসন ও প্রাণায়াম করুন।
৪) সারা দিনে খাবারদাবারের পাশাপাশি প্রচুর ফল খান।
৫) কফি জাতীয় পানীয় বেশি খাবেন না।
৬) পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত জরুরি। রাতে বেশি ক্ষণ জাগবেন না।