বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মাথা ঘোরানোর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর কোনও সমস্যা। ছবি: শাটারস্টক।
বহু রোগই আগাম সঙ্কেত দেয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে আমরা বুঝতে পারি না সে সব উপসর্গ। মাথা ঘোরানো তেমনই একটি উপসর্গ। যত ক্ষণ না গুরুতর কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তত ক্ষণ মাথা ঘুরলেও তাকে গুরুত্ব না দেওয়াই দস্তুর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মাথা ঘোরানোর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর কোনও সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, মাথা ঘোরানো হতে পারে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিগড়ানোর লক্ষণ। যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ হতে পারে বিপদের সঙ্কেত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাইপারগ্লাইসিমিয়া (রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে) কিংবা হাইপোগ্লাইসিমিয়া (রক্তে শর্করা কমে গেলে) দুই ক্ষেত্রেই মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ফলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণেও মাথা ঘোরাতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে শরীরে কাজ চালানোর মতো শক্তির অভাব হয়। সে ক্ষেত্রেও ক্লান্তিভাব, মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের এই উপসর্গের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবিটিসের অন্যান্য লক্ষণ:
১) অতিরিক্ত জল তেষ্টায় জিভ শুকিয়ে আসে? এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে এই সমস্যা যে রাতের মধ্যেও বার বার ঘুম ভাঙে জলের প্রয়োজনে? শরীরে হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দিলে ডায়াবিটিস হতে পারে। এই অসুখে শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নেয় কিডনি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। এই অসুখে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। সতর্ক হোন।
হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা ও সঙ্গে তা অবশ হয়ে যাওয়াও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ছবি: শাটারস্টক।
২) ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতে। ঘোলাটে দেখা বা কোনও লেখার লাইন ভুল পড়ার সমস্যা তৈরি হলে সচেতন হতে হবে।
৩) রক্তের অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্য শারীরিক প্রক্তিয়া কিডনিতে চাপ দেয়। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
৪) হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা ও সঙ্গে তা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শরীরের কোনও অংশে ঘা শুকোতে দেরি হচ্ছে? তা হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিন।
৫) ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করেই কি ওজন কমেছে? আবার অনেকের ক্ষেত্রে অত্যধিক ওজন বেড়েও যায়। তাই হঠাৎ ওজন কমলে বা বাড়লে সতর্ক হোন।