সর্দি কাশি, সংক্রমণ কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। ছবি- সংগৃহীত
মধুর অনেক গুণ। সর্দি-কাশি থেকে রূপচর্চা সবেতেই মধুর ব্যবহার আছে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ক্ষত বা সংক্রমণ সারাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, মধু হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত বিপাকহার নিয়ন্ত্রণ করতেও সক্ষম। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, মধুতে থাকা জৈব উৎসেচকগুলি রক্তে ‘ফাস্টিং’ সুগার, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে।
মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এ ছাড়া থাকে বেশ কিছু পরিমাণ প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এই প্রতিটি যৌগ শরীরের জন্য উপকারী।
যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, রাতারাতি চিনির বদলে মধু খেতে শুরু করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে, এমনটা কিন্তু নয়। যাঁরা খাবারে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করেন বা মিষ্টি সিরাপ ব্যবহার করেন, তাঁরা এই সব খাবারের বদলে মধু ব্যবহার করা শুরু করতেই পারেন।
রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি এমন ১১০০ জন রোগীদের প্রতি দিন ৪০ গ্রাম বা ২ টেবিল চামচ মধু দেওয়া হয়। তবে মধুটির বিশেষত্ব হল, তা শুধুমাত্র এক ধরনের ফুল থেকেই সংগৃহীত।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে নিম, জাম ফুল থেকে সংগৃহীত মধু বিশেষ ভাবে কার্যকর। ছবি- সংগৃহীত
বিশিষ্ট হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিমল ছাজার বলেন,“কোনও রকম প্রিজ়ারভেটিভ ছাড়া, খাঁটি মধু স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ভাল।”
কিন্তু বাজারে যে সব মধু কিনতে পাওয়া যায়, তার মধ্যে ভেজালের পরিমাণ বেশি। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে নিম, জাম ফুল থেকে সংগৃহীত মধু বিশেষ ভাবে কার্যকর। আবার তুলসি, জোয়ান ফুলের মধু খেলে তা সর্দি-কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এই ধরনের মধু চেনা এবং পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। তাই মধু কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।