Cheese for Weight Loss

রোগা হতে চাইলেও চিজ় খাওয়া যায়? কী ভাবে তা খাওয়ার তালিকায় জুড়বেন?

চিজ় খেয়ে ওজন কমবে! এ-ও কি সম্ভব? কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা, কী ভাবেই বা তা খেতে হবে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৯
Share:

ওজন কমাতে চান, তবে চিজ় বড় প্রিয়? কী ভাবে খেলে লক্ষ্যলাভ সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।

চিজ় ভরা অমলেট হোক বা অতিরিক্ত চিজ় দেওয়া পিৎজ়া— এমন স্বাদ ছাড়া কঠিন। প্রোটিনে ভরপুর চিজ়ের পুষ্টিগুণ কম নয়। তবে উচ্চ ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় মনে প্রশ্ন আসতেই পারে চিজ় কি এড়িয়ে চলা দরকার? যাঁরা মেদ ঝরাতে চাইছেন বা ওজন বশে রাখতে চাইছেন তাঁরা কি তবে চিজ় খাবেন না? পুষ্টিবিদেরা একবাক্যে মানছেন, প্রোটিনে ভরপুর চিজ় মোটেই অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে কোন চিজ়, কী ভাবে, কতটা খাওয়া হচ্ছে, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

বিভিন্ন রকম চিজ়ে প্রোটিন, ফ্যাটের মাত্রারও তফাত হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত চিজ় এড়িয়ে চলাই ভাল। পুষ্টিবিদ মিতুসি আজমেরার পরামর্শ, ফ্যাটের পরিমাণ কম রয়েছে এমন চিজ় বেছে নিতে পারেন। তবে তা সম্ভব না হলে চিজ়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ওজন কমাতে চাইলেও কি চিজ় খাওয়া চলে?

Advertisement

ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে চিজ় খেয়েও ওজন কমানো যায়। বেঙ্গালুরুর হাসপাতালের পুষ্টিবিদ কার্থিগাই সেলভি এ বলছেন,‘‘ওজন কমানোর অন্যতম শর্তই হল প্রক্রিয়াজাত নয়, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার এবং সব্জি পাতে রাখা। কম মাত্রার ফ্যাট যুক্ত চিজ় যদি সব্জির সঙ্গে পরিমিত খাওয়া যায় এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস থাকে তা হলে ওজন বশে রাখা মোটেই সমস্যার নয়।’’ কিন্তু ক্যালোরি মেপে কতটা খেতে হবে, সেটাই বা বোঝা যাবে কী ভাবে? মিতুসি বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে প্রতি দিন ক্যালোরি মেপে খেতে হয়। চিজ়ের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ১০০ গ্রামে কতটা ফ্যাট, প্রোটিন এবং ক্যালোরি রয়েছে। ফলে কতটা চিজ় খেতে চাইছেন, তাতে কতটা ক্যালোরি বা ফ্যাট শরীরে যাবে সেই হিসাব করে নেওয়া যায়। ক্যালোরি নির্দিষ্ট করে নিয়ে চিজ়ের পরিমাণ ঠিক করলেও চলবে।

কোন ধরনের চিজ় রাখবেন তালিকায়?

কটেজ চিজ়: যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন থাকলেও, ফ্যাট তুলনামূলক ভাবে কম থাকে এই চিজ়ে। ভারতের যে কোনও জায়গায় তা সহজে পাওয়া যায়।

মোজ়ারেলা: চিজ় ছাড়া পিৎজ়া ভাবাই যায় না। তাতে ব্যবহার করতে পারেন মোজ়ারেলা। এতে সোডিয়ামের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম, আবার তা ক্যালশিয়ামে পূর্ণ।

ফেটা চিজ়: এই ধরনের চিজ়ে স্বাস্থ্য উপযোগী প্রোবায়োটিক থাকে। স্যালাডের সঙ্গে এটি খাওয়া ভাল। তবে এতে সোডিয়ামের মাত্রা কিঞ্চিৎ বেশি।

কারা খাবেন না?

রক্তচাপজনিত সমস্যা, হজমের গন্ডগোল, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থাকলে চিজ় এড়িয়ে চলা ভাল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও যে কোনও ধরনের চিজ় খাওয়া চলে না। তা ছাড়া চিজ় কেনার সময় সোডিয়াম, ফ্যাটের মাত্রাও দেখে নেওয়া দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement