এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
থানার সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির নাম সুশান্ত দত্ত। সোমবার বিকেলে ‘বাজারে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে থানার গেটের কাছে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরান তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় থানা চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। সুশান্তের পরিবার সূত্রের খবর, জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদের জেরে বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন ওই প্রৌঢ়।
বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের পাশে ভাতার বাজার। তার পাশে রয়েছে একটি পুকুর। পাশে বেশকিছু বসতবাড়ি এবং দোকানপাট। পরিবারের দাবি, ওই পুকুরটি সুশান্তের। পাশেই তাঁর বাড়ি। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সুশান্ত ওই পুকুরটি বছর আটেক আগে কিনেছিলেন। তাঁর নামে জমির রেজিস্ট্রিও হয়। ২০১৯ সালে পুকুরে মাছচাষ শুরু করেন সুশান্ত। কিন্তু তার পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। পুকুরটি খাস জমি উপর দাবি করে আদালতে মামলা করেন স্থানীয় কয়েক জন। সেই থেকে আর পুকুর থেকে মাছ ধরতে পারতেন না সুশান্তরা। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা চলছিল।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে জেলাশাসক জমির বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ দুই দফায় শুনানিতে ডাকা হয়েছিল সব পক্ষকে। ভাতার ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই পুকুরটি সরকারি খাস সম্পত্তি। শেষ শুনানির পর জেলাশাসক মামলাটি খারিজ করে দেন এবং মামলাকারীকে জরিমানা করেন। ওই পুকুরের মালিকানা সুশান্তবাবুদের নয়।’’ মনে করা হচ্ছে, ওই কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুশান্ত। চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।