ছবি: সংগৃহীত।
ধূমপানের আসক্তি ছাড়তে কত কীই না করেছেন। নেশা ছাড়ানোর জন্য বাজারে কত ধরনের স্প্রে, চিউইং গাম পাওয়া যায়। দাম দিয়ে সে সব কিনেছেন। সিগারেট খাওয়ার প্রবল ইচ্ছে হলেই মুখে স্প্রে করেন কিংবা চিউইং গাম দিয়ে দেন। তা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বরং সেই সব জিনিস ফুরিয়ে এলেই সিগারেট খাওয়ার ছুতো খুঁজছেন। এ দিকে খাবার টেবিলে ফলের ঝুড়িতে রাখা কলা যে সস্তায় সেই কাজ করে ফেলতে পারে, তা জানেন না।
খনি অঞ্চলে, চা কিংবা কফির কারখানায় যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তাঁদের বেশি করে কলা খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। যদিও এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। তবে চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন, কলার মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে তা ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ টেনে শরীর থেকে বার করতে সাহায্য করে। ২০২০ সালে আমেরিকার ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ বা (পিএমসি) জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও তেমন ইঙ্গিত রয়েছে।
এ ছাড়া কলায় নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। যেগুলি শরীরে নিকোটিন শোষণে বাধা দেয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফুসফুসে জমা টক্সিন দূর করতে এই ফাইবার দারুণ কাজ করে। কলায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই ফলটি। সিগারেটের নেশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে অনেকেই তা দমন করতে চিউইয়ং গাম খান। অনেকে মনে করেন, এ ক্ষেত্রে কলা চিউইং গামের বিকল্প হিসাবে কাজ করতে পারে।