অমলেট না কি সেদ্ধ, কোনটি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি হেঁশেল মাছ, মাংসের পাশাপাশি ডিমের জনপ্রিয়তাও কম নয়। বরং খানিক বেশি বলা চলে। ডিম খেতে ছোটরা যেমন ভালবাসে, তেমনই ডিমের যে কোনও পদ চেটেপুটে খান বড়রাও। ডিম যে শুধু খেতে ভাল, তা তো নয়। ডিম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। ডিমে রয়েছে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো নানা উপাদান। যেগুলি শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস বলে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই রোজ একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ডিমের জুড়ি মেলা ভার।
সকালের জলখাবারে ডিম থাকে অনেকেরই। ডিম সেদ্ধ, পোচ, নিদেনপক্ষে অমলেট। শিশুদের টিফিনে ডিম দিলেও টিফিন বাক্স খালি হয়েই ফেরত আসে। তবে অনেকেই ডিম সেদ্ধ খেতে বেশি ভালবাসেন। আবার কারও পছন্দ অমলেট। ডিম মাত্রেই উপকারী, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু কী ভাবে ডিম খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে কতটা স্বাস্থ্যগুণ শরীর পাবে। তাই সেখান থেকে অনেকেই বুঝতে পারেন না সেদ্ধ না কি অমলেট, কী ভাবে ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
সকালের জলখাবারে ডিম থাকে অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিবিদদের মতে, সেদ্ধ ডিমে ক্যালোরির পরিমাণ ৭৮। শরীরে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিনের ভারসাম্য বজায় থাকে সেদ্ধ ডিম খেলে। তা ছাড়া, ডিমে অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। সেদ্ধ ডিম খেলে ভিটামিন বি১২, ডি, রিবোফ্ল্যাভিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় শরীর। এর ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাড়তি স্ফূর্তি আসে শরীরে। সেদ্ধ ডিমে রয়েছে কোলিনও, মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধিতে কোলিনের জুড়ি মেলা ভার।
অন্য দিকে, স্বাদের দিক থেকে অমলেট এগিয়ে। চিজ়, সব্জি দিয়ে বানালে আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। সেদ্ধর মতো ডিমের অমলেটেও প্রোটিন আছে। তবে ডিম সেদ্ধতে যেমন তেলের ছোঁয়া থাকে না, অমলেটের ক্ষেত্রে অল্প হলেও তেলের ব্যবহার করতে হয়। অমলেট মানেই ক্ষতিকর, তা নয়। এক ফোঁটা তেল দিয়ে অমলেট করলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে মাখন, চিজ় দিয়ে অমলেট খেলে মুশকিলে পড়তে পারেন। ওজন বাড়তে পারে। তবে অনেকেই টোম্যাটো, গাজর, বিন্স কুচি করে অমলেট বানান। সব্জি দিয়ে বানানো অমলেট খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রোজ ডিম সেদ্ধ খেলে স্বাস্থ্যের যেমন বিশেষ কোনও ঝুঁকি থাকে না, তেমন প্রতি দিন কিংবা ঘন ঘন অমলেট না খাওয়াই ভাল। সপ্তাহে ২-৩ দিন খাওয়া যেতে পারে, তবে তার বেশি না খাওয়াই শ্রেয়।