উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
কম বয়সি হোন কিংবা বৃদ্ধ— বিভিন্ন বয়সেই উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। মানসিক চাপ, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, বেহিসাবি জীবনযাপন উচ্চ রক্তচাপের নেপথ্যে রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যে কোনও উপায়ে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, সকাল শুরু করবেন কোন খাবার খেয়ে। যাতে পেটও ভরে আবার উচ্চ রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।রইল তেমন কয়েকটি খাবারের খোঁজ।
ওট্স প্যানকেক
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওট্স অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। দই দিয়ে ওট্স খেতে পারেন। কিংবা ওট্সের খিচুড়িও বানিয়ে নিতে পারেন। এ ছা়ড়াও ওট্স দিয়ে খুব ভাল প্যানকেকও তৈরি। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের যত্ন একসঙ্গেই নেওয়া হবে। কী ভাবে বানাবেন? ওট্স, গাজর, পালংশাক, কাঁচালঙ্কা কুচি, এক চামচ তেল, এক কাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার একটি কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে মিশ্রণটি অল্প অল্প করে দিয়ে প্যানকেক তৈরি করে নিন।
বাজরার রুটি
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়দা কিংবা আটার বদলে অনেকেই বাজরার রুটি খান। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বাজরা সত্যিই উপকারী। বাজরার আটা মেখে একটি মণ্ড তৈরি করে রেখে দিন। এ বার অন্য একটি পাত্রে পনির, চার টেবিল চামচ মেথি, লঙ্কা কুচি, টোম্যাটো কুচি, নুন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পুর তৈরি করে নিন। আটার মণ্ড থেকে লেচি কেটে তার মধ্যে পুর ভরে বেলে এবং সেঁকে নিলেই তৈরি বাজরার রুটি।
মুগ ডালের ইডলি
শরীরের পাশাপাশি স্বাদেরও তো যত্ন নিতে হবে। একঘেয়ে খাবারের বদলে মাঝেমাঝে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানা স্বাদের স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে নেওয়া যায়। মুগডালের ইডলি তার মধ্যে অন্যতম। এক কাপ মুগ ডাল প্রায় ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তার পর মিক্সিতে বেটে নিন। এর মধ্যে আধ কাপ দই মিশিয়ে নিন। এ বার কড়াইয়ে এক চামচ তেল গরম করে তাতে গোটা জিরে, চেরা কাঁচালঙ্কা, রসুন কুচি, কারিপাতা, কাজুবাদাম ভেজে নিয়ে তাতে মুগডালের মিশ্রণটি দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি মুগডালের ইডলি।