শুধু জল খেতে যদি ভাল না লাগে তবে জলের ভাগ বেশি এমন ফল কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে। ছবি- সংগৃহীত
সারা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খেতে বলা হলেও অনেকেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন না। এ দিকে, আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জল না খেলেই নয়। তবে, পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু জল খেতে যদি ভাল না লাগে তবে জলের ভাগ বেশি এমন ফল কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে। যেমন গরম কালে জলের ঘাটতি মেটানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল তরমুজ খাওয়া। তবে শুধু জলের ঘাটতি মেটানো নয়, এ ছাড়াও তরমুজে রয়েছে নানা গুণ।
শরীরের কোন কোন উপকারে লাগে তরমুজ?
১) প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে ক্ষত নিরাময়ের জন্য প্রোটিনযুক্ত কোষ কোলাজেনের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে। তরমুজে থাকা বিটা-ক্যরোটিন ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এবং অকালে চুলের ঝরে পড়া রুখতে সাহায্য করে।
২) ওজন কমাতে সাহায্য করে
অনেকে মনে করেন তরমুজে শর্করার পরিমাণ বেশি। তাই ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে তা বিশেষ ফলদায়ক না-ও হতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৩০ এবং শর্করার মাত্রা ৬.২ গ্রাম। যাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও তরমুজে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি হওয়ায়, বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে পারে।
১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৩০। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। ছবি- সংগৃহীত
৩) চোখের জন্য ভাল
তরমুজে থাকা লাইকোপিন নামক যৌগটি, চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। বয়সজনিত ‘ম্যাকুলার ডিজনারেশন’-এর কারণে চোখে যে ধরনের সমস্যা হয়, তা প্রতিরোধ করতে পারে এই লাইকোপিন।
৪) দাঁত এবং মাড়ির যত্নে
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মাড়ির টিস্যুতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রোধ করতে পারে এই ফল। সেই কারণেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা মাড়ি আলগা হয়ে কম বয়সে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও আটকে দিতে পারে সহজেই।
৫) শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে
তরমুজের মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশই জল। জল কম খেয়ে যদি পেশিতে টান ধরে বা শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়া যেতেই পারে।