রোজ সকালে অনেকেই লেবুজল খান রোগা হওয়ার আশায়। ছবি: সংগৃহীত
ওজন হাতের মুঠোয় রাখা সহজ নয়। তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলেই হল না। খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হয় বড়সড় বদল। রোগা হওয়ার এই পর্বে নিয়ম মেনে চলাটাই দস্তুর। রোগা হওয়ার তেমন কোনও চটজলদি উপায় নেই। পরিশ্রম না করলে রোগা হওয়া সম্ভব নয়, সে কথা ভুল নয়। তবে ওজন ঝরানোর কিছু টোটকা আছে। যেগুলি বেশ কার্যকরী। তার মধ্যে অন্যতম ঈষদুষ্ণ লেবুর জল। রোজ সকালে অনেকেই লেবুজল খান রোগা হওয়ার আশায়। লেবু এমনিতে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। লেবুর গুণে দূর হয় অনেক রোগবালাই। কিন্তু রোজ রোজ লেবু খাওয়ার এই অভ্যাসে কি কোনও সমস্যা হতে পারে?
দাঁতের ক্ষয় হয়
রোজ লেবুজল খাওয়ার ফলে লেবুতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দাঁতকে ভিতর থেকে করে তোলে দুর্বল। এ ছা়ড়া প্রতি দিন লেবু খেলে অম্বলের সমস্যাও হতে পারে। ফলে রোজ লেবুজল না খাওয়াই ভাল। ওজন দেরিতে কমলেও দূরে থাকবে দাঁতের রোগ।
রোজ রোজ লেবুজল খাওয়ার এই অভ্যাসে কি কোনও সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত
বমি বমি ভাব
লেবুতে থাকা অ্যাসিড নিয়মিত শরীরের প্রবেশ করলে হতে পারে গ্যাস-অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা নিয়মিত দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বমি বমি ভাবও। দীর্ঘ দিন ধরে ভিতরে ভিতরে অম্বল হতে থাকলে বড় কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা
অত্যধিক হারে লেবু জল পান করার ফলে শরীরে জলশূন্যতা এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। লেবুর রসে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড মূত্রবর্ধক। পিত্তাশয়ে ঘন ঘন মূত্র উৎপাদন বাড়ায় এই অ্যাসিড। ফলে মূত্রত্যাগের বেগ আসে বার বার। শারীরিক এই সমস্যাগুলি থেকে দূরে থাকতে প্রতি দিন লেবুজল না খেয়ে বিরতি নিয়ে খেতে পারেন।