সকালের খাবার খেতে ভুলে গেলে চলবে না। ছবি:সংগৃহীত।
ডায়েট, শরীরচর্চা, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো— রোগা হওয়ার নানা উপায় রয়েছে। ছিপছিপে হতে অনেকেই এই নিয়মগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশ কিছু দিন নিয়ম মেনে চলার পরেও চেহারায় কোনও বাহ্যিক পরিবর্তন আসে না। অনেকেই তাতে ভেঙে পড়েন। আসলে কড়া নিয়মের ফাঁক গলেও কিছু অনিয়ম হয়ে যায়। রোগা হওয়ার ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দিন শুরুর খাবারের উপর নির্ভর করছে, ওজন কত দ্রুত ঝরবে। এ ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে ফেলেন অনেকেই। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা জরুরি?
সকালের খাবার না খাওয়া
ঘুম ভাঙেই একরাশ চিন্তা নিয়ে। অফিস যাওয়ার তাড়া, বাড়ির কাজ— সব মিলিয়ে সকালটা বেশ ব্যস্ততাতেই কেটে যায়। তাড়াহুড়োয় খাবার খেতেই ভুলে যান অনেকে। না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। রোগা হতে চাইলে এই অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে পেট ভরে খাওয়া জরুরি।
দেরি করে খাওয়া
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই হঠাৎ বসের তলব। তাড়াতাড়ি অফিসে ঢুকতে হবে। কোনওমতে স্নান করেই অফিসে দৌড়লেন। সমস্ত কাজ যখন শেষ হল, তখন বেলা অনেকটা পেরিয়ে গিয়েছে। খিদেয় পেট চুঁইচুঁই করছে। তখন খেলে হয়তো খিদে মিটবে, কিন্তু সকাল থেকে খালি পেটে থেকে বেলা হলে খাবার খাওয়ার অভ্যাসে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
প্রোটিন কম খাওয়া
ওজন কমানোর আরও একটি উপায় হল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খুব ভাল হয় যদি সকালের জলখাবার হয় প্রোটিনে পরিপূর্ণ। দিনের শুরুতেই বেশি করে প্রোটিন শরীরে চলে গেলে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।