সত্যিই কতটা স্বাস্থ্যকর এই খাবার? ছবি: সংগৃহীত
সূর্যমুখী বীজের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে বাঙালির রান্নাঘরে। ডায়াবিটিস, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই বীজকে বেশ কার্যকর বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু সত্যিই কতটা স্বাস্থ্যকর এই খাবার? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সূর্যমুখী বীজের যেমন বেশ কিছু গুণ রয়েছে তেমনই এই বীজ থেকে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যাও।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কী কী উপকার মিলতে পারে?
১। সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। পৌনে এক কাপ সূর্যমুখীর বীজ থেকে প্রায় ১৪ গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যেতে পারে।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সূর্যমুখীর বীজ বেশ কার্যকর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এতে থাকে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩। সূর্যমুখী বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি। ভিটামিন বি ও সেলেনিয়াম শরীরের স্ফূর্তি আনতেও সহায়তা করে।
৪। সূর্যমুখীর বীজে থাকে ভিটামিন ই ও ফ্ল্যাভিনয়েড। এই উপাদানগুলি প্রদাহ নির্মূল করতে সহায়তা করে।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ কিন্তু বলছেন, সূর্যমুখীর বীজের যেমন একাধিক সুফল রয়েছে তেমনই সূর্যমুখী বীজ একাধিক সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
১। সূর্যমুখীর বীজে ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে স্থূলতা। পাশাপাশি সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকে। দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ।
২। সূর্যমুখীর বীজে ক্যাডমিয়াম নামক একটি ভারী ধাতু থাকে। এই ধরনের ভারী ধাতু কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করে।
৩। সূর্যমুখীর বীজ ঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা হলে, এই বীজের সঙ্গে সালমোনেল্লা নামক ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করতে পারে শরীরে।
৪। বিরল হলেও সূর্যমুখীর বীজ থেকে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি। বেড়ে যেতে পারে মুখের ব্রণও।
৫। সূর্যমুখীর বীজ, মল নির্গমনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে ফলে বেড়ে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
কাজেই সূর্যমুখীর বীজ যেমন লাগতে পারে কাজে, তেমনই এতে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যাও। তাই সূর্যমুখীর বীজ খেতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে খাওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।