— প্রতীকী চিত্র।
বর্ষাকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, নানা রকম জীবাণুর পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই ত্বকে, চোখে বা শরীরে অন্যত্র সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি বেড়ে উঠছে কনজাংটিভাইটিস বা জয়বাংলা। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘আই ফ্লু’। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকনো, চোখ থেকে জল পড়া-সহ চোখে নানা রকম অস্বস্তি হতে দেখা যায়। কেউ এই ফ্লু-তে আক্রান্ত হলে অন্যদের থেকে ওই ব্যক্তিকে একটু আলাদা করেই রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই ভাইরাসটি দ্রুত এক জনের থেকে অন্য জনের চোখে ছড়িয়ে পড়ে।
কী কী কারণে চোখে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়?
১) ভাইরাস ছাড়া বাতাসে উপস্থিত পোলেন, পোষ্যের লোমের কণা, নানা ধরনের রাসায়নিক, ধুলো কিংবা ধোঁয়া থেকে এ ধরনের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২) এ ছাড়াও একটানা অনেক ক্ষণ চোখে লেন্স পরে থাকলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
৩) অনেকেই বলেন, প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হলেও অনেক সময়ে একাধিক বার কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
‘আই ফ্লু’-এর লক্ষণগুলি কী কী?
১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, চুলকনো, চোখে অস্বস্তি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে চোখ ফুলেও যেতে পারে।
২) ‘আই ফ্লু’ হলে অনেকেই চোখে ঝাপসা দেখেন। চোখের আশপাশে র্যাশ বেরোতেও দেখা যায়।
৩) চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘আই ফ্লু’-র বাড়াবাড়ি পর্যায়ে অনেকেরই জ্বর আসে।
‘আই ফ্লু’ থেকে বাঁচার উপায় কী?
১) চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
২) বাইরে থেকে ফিরেই আগে হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) চোখে অস্বস্তি হলেও হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করা যাবে না।