কফিতে কোনও উপাদান মেশালে দ্রুত ওজন কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
ক্লান্তি হোক বা মাথাধারা, কফির কাপে চুমুক দিলেই তরতাজা হয়ে ওঠে শরীর-মন। তবে শুধু স্নায়ুকে চাঙ্গা করতে নয়, কফির গুণে অনেক কাজই হয়। যেমন, চিনি ছাড়া, দুধ ছাড়া কালো কফি খেলে ওজন কমতে পারে দ্রুত। তবে যদি কফিতে মিশিয়ে নেওয়া যায় কয়েকটি মশলা, তা হলে কিন্তু কাজ হতে পারে দ্বিগুণ গতিতে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে কফির ভূমিকা
১. কফিতে থাকা ক্যাফিন বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিপাকহার কমে গেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পাশাপাশি, ক্যাফিন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। ক্যাফিনের দরুণ শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়। যা শক্তিক্ষয় করতে সহায়ক।
২. কফি ফেলে খিদে কমে যায়। পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে শরীরে মেদ জমা স্বাভাবিক। তবে, ওজন কমাতে কম খেলে হবে না। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের সামঞ্জস্য রেখে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। প্রাতরাশের পর এক কাপ কালো কফি খেয়ে নিলে বেশ কিছু ক্ষণ খিদে পাবে না। ফলে হাবিজাবি খেয়ে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমবে।
৩. কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। চিনি ছাড়া কালো কফি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিকই। তবে, রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান কফির সঙ্গে যোগ করলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারে। পাশাপাশি, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিরও সহায়ক হবে।
দারচিনি
কফি তৈরির জন্য জল গরম করার সময় এক টুকরো দারচিনি ফেলে দিলে, মশলাটির গুণ কফিতে মিশে যাবে। দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, খিদে কমায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আদা
আদারও অনেক গুণ। রক্তে খারাপ ফ্যাট এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে আদার রস। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। আদা খেলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়। যা দ্রুত শক্তিক্ষয়ের মাধ্যমে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। কফি তৈরির সময় আদা থেঁতো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তার নির্যাস মিশে যাবে। সেই জল ছেঁকে তাতে কফি যোগ করে নিলেই আদা-কফি তৈরি হয়ে যাবে। এ ছাড়াও বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আদা।
গোলমরিচ
গোলমরিচ পুষ্টিশোষণে ও হজমে সহায়ক। কালো কফিতে খানিকটা গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিলেই কফিতে বাড়তি গুণ যুক্ত হবে। গোলমরিচ বিপাকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে তা কফিতে মেশালে ওজন কমতে পারে দ্রুত।