স্মুদিতে কলা দেবেন না কেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরে ভারী কোনও খাবার খাওয়া যায় না। তবে প্রশিক্ষকদের মত, একেবারে খালি পেটে জিম বা যোগব্যায়াম করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও খাবার না খেয়ে কলা খাওয়া যেতেই পারে। গরমে প্রাণ জুড়োতে শরীরচর্চা করার পর অনেকেই স্মুদি খেয়ে থাকেন। তাতে যেমন পেট ভর্তি থাকে, তেমন ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের ঘাটতিও পূরণ হয়। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন অন্য কথা। স্মুদির সঙ্গে কলা মেশালে তা খেতে হয়তো ভাল লাগে। কিন্তু তার মধ্যে পুষ্টিগুণ কিছু থাকে না। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ পেডি মিরদামাদি বলেন, “কলার মধ্যে রয়েছে পলিফেনল অক্সিডেজ় বা ‘পিপিও’। এই উৎসেচকটি স্মুদির মধ্যে থাকা অন্য পুষ্টিকর উপাদানগুলি শোষণে বাধা দেয়।”
এই পলিফেনল অক্সিডেজ় কী?
এই উপাদানটি বিশেষ কিছু ফল এবং সব্জির মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই থাকে। কলা কেটে, ব্লেন্ডারে পেস্ট করলে তার মধ্যে থাকা পলিফেনল অক্সিডেজ় সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই স্মুদি খেলে যে শরীরের খুব ক্ষতি হয় তা নয়। তবে সেই পানীয়ের পুষ্টিগুণ অনেকটাই হ্রাস পায়।
ঘনত্ব এবং মসৃণ ভাব বজায় রাখার জন্য স্মুদিতে কলা দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। কলা যদি শরীরের উপকারেই না লাগে, তার বদলে স্মুদিতে আর কী কী দেওয়া যেতে পারে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয়ের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে কলার বদলে আম, খেজুর কিংবা অ্যাভোকাডো দেওয়া যেতে পারে। তাতে স্মুদির ঘনত্ব, মসৃণ ভাব এবং মিষ্টত্ব সবই বজায় থাকবে।