মিঠুন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং ফ্লোর থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিঠুনকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে অভিনেতার। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যান তৃণমূলের বিধায়ক-অভিনেতা। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্ট্রোককে ব্রেন অ্যাটাকও বলা হয়। স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, একে বলে ইস্কেমিক স্ট্রোক। আবার অনেক ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের একটি রক্তনালি ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়, একে বলা হয় হেমোরেজিক স্ট্রোক। উভয় পরিস্থিতিতেই মস্তিষ্কের অংশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে। তবে অভিনেতা মিঠুন ঠিক কোন ধরনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি হাতপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।
মিঠুনের বয়স ৭৩ বছর। চিকিৎসকের মতে, হার্টের সমস্যা, ডায়াবিটিস এবং বয়সজনিত কারণে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এর আগে পরিবারে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া রোজের জীবনের কয়েকটি অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সেগুলি জানা থাকলে এখন থেকে সতর্ক হতে পারবেন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ৮০ শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। যাঁরা আগে থেকেই ঝুঁকিসম্পন্ন, তাঁদের ডিমের কুসুম ও মাংস খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।
পরিশ্রম কম করা: শরীরচর্চার অভাব ও সারা দিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ধূমপান: ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।
অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।
ডিসেম্বর মাসেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে শেষমেশ ৯ জানুয়ারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রাশিদের।