ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা বসেও ক্লান্তি! কোন উপায়ে সমাধান? ছবি: সংগৃহীত।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরেই বসে কাজ। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাই জানেন শরীর কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার উপর যদি কাজের চাপে অতিরিক্ত সময় অফিসেই থেকে যেতে হয়, তারও প্রভাব পড়তে থাকে শরীরে। বাড়তি সময় কাজ মানেই একেঘেয়েমি কাটাতে বার বার চা-কফি খাওয়া, খিদের মুখে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তা দিয়ে মুখ চালানো। তা ছাড়া, হাঁটাহাটি, ব্যায়াম না করার ফল-ও ক্রমশ পড়তে থাকে শরীরে।
ক্লান্তি, ঝিমুনি, ওজন বৃদ্ধি, পিঠে-কাঁধে ব্যথা একটা সময়ের পর নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির সহজ উপায় লুকিয়ে কিন্তু খাদ্যতালিকায়। পুষ্টিবিদ বলছেন, দীর্ঘ ক্ষণ টানা বসে কাজ, চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলা, পুষ্টির অভাব ও কাজের চাপ জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠে। কয়েকটি অভ্যাস বদলেই কিন্তু শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কী সেই বদল?
সকালের খাবার
পুষ্টিবিদের পরামর্শ, সকালে অফিস বেরোনোর আগে পুষ্টিকর খাবার পেট ভরে খাওয়া আবশ্যিক। এতে দিনভর খিদের মুখে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
অনেকেই তাড়াহুড়োয় প্রাতরাশ বাদ দেন। তার পর অফিসে গিয়ে যা হাতের কাছে পান, খেয়ে নেন। এতে পুষ্টিতে ফাঁক থাকে। সকালের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সামঞ্জস্য থাকা দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ।
জল
শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সঠিক পরিমাণ জলের প্রয়োজন। জলের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বাসা বাঁধতে পারে। পুষ্টিবিদ বলছেন, তাই সকালে এক গ্লাস ডাবের জল, শরবত বা ফল খাওয়াটা খুব জরুরি। এতে শরীর শুধু জল নয়, পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজও পায়। জল কম খেলে পেট ফাঁপা, বদহজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিপাকহারেও প্রভাব পড়তে পারে। বিপাকহার কমলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। সারা দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া দরকার।
টুকিটাকি খাবার
সন্ধ্যার দিকে একটু মুচমুচে কিছু খেতে ইচ্ছা করে। এই সময় তেলেভাজা, কেক, পেস্ট্রির বদলে বাদাম, মাখানা, কোনও একটা ফল বেছে নেওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদের কথায়, বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬ টার মধ্যে হালকা কিছু খেলে পেট কিছুটা ভরা থাকবে। ফলে রাতের খাওয়ার সময় খিদের চোটে বাড়তি খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা কমবে।