যাঁদের ওজন কমছে না কিছুতেই তাঁরা বাড়তি ফ্যাট খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানোর সময়ে প্রথম কয়েক কেজি তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। কিন্তু তার পরই হয় মুশকিল। কিছুতেই ওজন কমতে চায় না আর। হাজার ডায়েট করে, শরীরচর্চা করেও কোনও লাভ হয় না। ওজন কমছে না দেখে অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ ভেঙেও পড়েন মানসিক ভাবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই জেনে নিন এমন ১০ নিয়ম যা মানলে ১০ কেজি ওজন কমানো অতটা কষ্টকর হবে না।
১। অনেকে বুলেট কফি দিয়ে দিন শুরু করেন। মানে নারকেল তেল বা ঘি দেওয়া কফি। কিন্তু যাঁদের ওজন কমছে না কিছুতেই তাঁরা এই ধরনের বাড়তি ফ্যাট খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
২। বাচ্চাদের অনেক মুখরোচক টুকিটাকি খাবার বাজারে পাওয়া যায়। আমরা ভাবি, বাচ্চাদের জন্য তৈরি বলে বোধহয় খুব স্বাস্থ্যকর। আদতে এগুলি চিনিতে ভর্তি।
প্রতীকী ছবি।
৩। সকালের জলখাবারে দুধ-কলা-চিড়ে খাচ্ছেন? গরমের জন্য দারুণ খাবার। কিন্তু এতে প্রোটিন কই? ওজন কমাতে গেলে প্রত্যেক খাবারের সঙ্গে প্রোটিন রাখতেই হবে।
৪। দুশ্চিন্তায় ঘুমচ্ছেন না ঠিক করে? না ঘুমলেই মুশকিল। ভুঁড়ি কমবে না কিছুতেই। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে খিদেও বেশি পাবে। বেশি খেয়ে ফেললেই যাবতীয় পরিশ্রম জলে!
৫। টুকিটাকি খাওয়ার প্রবণতা কমান। জলখাবার, দুপুরের খাবার আর রাতের খাবারে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তা হলে খুব বেশি খিদে পাওয়ার কথা নয়।
৬। ফলের রস খাবেন না। গোটা ফলের গুণ অনেক বেশি। ফল রস করলেই তাতে শুধু ফ্রুকটোজ থাকবে। আর তাতেই ওজন বাড়বে সহজেই।
৭। এনার্জি ড্রিঙ্ক বা প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাবেন না। এতে ভরে ভরে চিনি দেওয়া থাকে। অজান্তেই শরীরে জমা হয়।
প্রতীকী ছবি।
৮। পাস্তা বা পিৎজার লোভ সামলাতে হবে। এতে ময়দা, চিনি, নুন সবই বেশি। তাই ওজনের দোসর।
৯। জল না খেলে শরীরের হজমক্ষমতা ঠিক মতো কাজ করবে না। আর খাবার হজম না হলে হাজার শরীরচর্চা করেও ক্যালোরি ঝরবে না।
১০। আপনার শরীরে কোন খাবার সহ্য হয়, কোনটা হয় না সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি খুব উপকারী সব্জি। কিন্তু আপনার যদি তাতে গ্যাস হয়, তা হলে না খাওয়াই ভাল। তেমনই বেশি পেঁপে খেলে যদি আপনার পেটের গোলমাল হয়, তা হলে বাকিরাও যতই খান, আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে।