যে সব শাড়িতে জরির কাজ আছে, সেগুলি উল্টো করে ভাঁজ করুন। ছবি: শাটারস্টক।
সিল্কের শাড়ির আবেদন চিরন্তন। শাড়িপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় যে শাড়িগুলি শীর্ষে থাকে তার মধ্যে কাঞ্জিভরম, বেনারসি, বালুচরি, তসর অন্যতম। ৮ থেকে আশি— সিল্কের শাড়ির কদর সব বয়সিদের মধ্যেই আছে।
বিয়েবাড়ি হোক বা উৎসবের সাজ, সকালের কোনও অনুষ্ঠান হোক বা রাতের পার্টি— সিল্কের শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানেই পরলেই সাজ হয় অনন্য। শীত হোক কিংবা গরম, ভাল মানের সিল্ক যে কোনও মরসুমেই আপনি পরতে পারেন।
সদ্য বিয়ে হয়েছে? আর পছন্দসই মুগা, স্বর্ণচুরি, ইক্কত এনেছেন তত্ত্বে? মায়ের কাঞ্জিভরমটাও সঙ্গে করে এনেছেন শ্বশুরবাড়িতে? তবে যত্নে না রাখলে কিন্তু মুশকিল। সিল্কের কদর ঠিক মতো না করলে কিন্তু খুব বেশি দিন টিকবে না সাধের শাড়িগুলি। কী ভাবে নেবেন সিল্কের যত্ন?
১) কোনও সিল্কের শাড়ি আলমারিতে ঝুলিয়ে রাখবেন না। কোনও সুতির কাপড়ে কিংবা কাগজে মুড়ে, তার পরে আলমারিতে তুলুন শাড়িগুলি।
২) অনেকে শাড়ি রোদে দিতে বলেন। সিল্কের শাড়ির ক্ষেত্রে তা কখনওই করবেন না। মাঝেমাঝে আলমারি থেকে বার করে হাওয়ায় রাখবেন। তবে ছায়ায়। রোদে নয়।
যে সব শাড়িতে জরির কাজ আছে, সেগুলি উল্টো করে ভাঁজ করুন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) সিল্কের শাড়ি ভুলেও বার বার কাচতে দেবেন না। দু-তিন বার পরার পর ড্রাই ওয়াশ করাতে দিন। তবে তা-ও যত কম হয় ততই ভাল। বেশি কাচলে শাড়ির ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়।
৪) সিল্কের শাড়ি আলমারিতে রাখার সময় ন্যাপথলিনের বল রাখতে পারেন। তার চেয়েও ভাল হয় যদি শুকনো নিমপাতা রাখতে পারেন। অনেক সময় জুতোর বাক্সে কিছু সিলিকা জেলের প্যাকেট দেওয়া হয়। সেগুলি ফেলে না দিয়ে আলমারিতে রাখুন। বদ্ধ জায়গার আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করবে।
৫) যে সব শাড়িতে জরির কাজ আছে, সেগুলি উল্টো করে ভাঁজ করুন। জরি ভাল থাকবে। প্রতি ছ’মাস অন্তর সিল্কের শাড়ির ভাঁজ বদলান।