New Year Party

রেহাই পান হ্যাংওভার থেকে

সেকালে রাতভর মেহফিলের পর জমিদার বাবুরা বাড়ি ফিরলেই হ্যাংওভার বা খোয়ারি কাটাতে পাথরের গ্লাসে দেওয়া হত পুরনো তেঁতুলের শরব। আজ দিন বদলেছে। কিন্তু বছর শেষের পার্টির পরের দিন পানীয়টি একই রকম কার্যকর। কিন্তু যদি এমন হত! মানে চুটিয়ে পান করবেন অথচ হ্যাংওভার হবে না! তাও আবার হয় নাকি? ‘হয় হয় Zনতি পারো না’। কী ভাবে সম্ভব? জেনে নিন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট গৌতম দাসের কাছ থেকে।‘মেঘলা দিনে দুপুরবেলা’ থেকেই সাজ সাজ রব রাতের পার্টির আয়োজনে। অ্যালকোহল নিয়ে আম বাঙালির ছুৎমার্গ উধাও। বছরের প্রথম দিন রবিবার হওয়ায় হ্যাং ওভারের চিন্তা কিছুটা হলেও কম।

Advertisement

সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৫:৪৯
Share:

‘মেঘলা দিনে দুপুরবেলা’ থেকেই সাজ সাজ রব রাতের পার্টির আয়োজনে। অ্যালকোহল নিয়ে আম বাঙালির ছুৎমার্গ উধাও। বছরের প্রথম দিন রবিবার হওয়ায় হ্যাং ওভারের চিন্তা কিছুটা হলেও কম। কিন্তু শুধু শুধু মাথা ধরিয়ে বছরের প্রথম দিনটাকে বিস্বাদ করে লাভ কী! অনেকের ধারণা রেড ওয়াইন খেলে হার্ট ভাল থাকে। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে পাত্তরের পর পাত্তর রেড ওয়াইন উড়িয়ে দেন। জেনে রাখুন স্বচ্ছ অ্যালকোহলের থেকে কালারড স্পিরিটের ইম্পিউরিটি অনেকটা বেশি। তাই এর থেকে হ্যাংওভারের সম্ভাবনাও তুলনামূলক ভাবে অনেকটা বেশি। বরং হোয়াইট ওয়াইন, ভদকা, জামাইকান রাম, জিন, টাকিলা এমনকী দেশি বাংলা দিয়ে তৈরি ককটেল পান করলে হ্যাংওভারের সম্ভাবনা কমে। শটস এর থেকে ককটেল অনেক ভাল। কেন না ককটেলে কিছুটা ফ্রুট জুস থাকে বলে টক্সিসিটির পরিমান অনেকটাই কম হয়। আসলে মদ্যপান করলে লিভার, কিডনি, ব্রেন— শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ওপর তার প্রভাব পড়ে। ইউরিনারি ব্লাডার ওভার অ্যাক্টিভ হয়ে যায়। ফলে বারংবার টয়লেটে দৌড়তে হয়। মোদ্দা কথা, শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে গিয়ে ডিহাড্রেশনের সম্ভাবনা বাড়ে। হ্যাংওভারের প্রধাণ কারণ কিন্তু শরীরে জল ও মিনারেলসের ঘাটতি। একটু সতর্ক ভাবে পান করলে অযথা মাথা ধরা আর শরীর ঢিসঢিস করে বছরের প্রথম দিনটা মাটি হয় না।

Advertisement

জলে নেমেও কীভাবে বেণী ভেজানোর হাত থেকে বাঁচা যায় তারই কিছু টিপস রইল

মদ্যপানের সময় বেশি ভাজাভুজি না খেয়ে বয়েল্ড ভেজিটেবল, স্যালাড, ফ্রুট স্যালাড, চিকেন হাওয়াইন স্যালাড, কাজু, কিসমিস, আমন্ড-সহ ড্রাই ফ্রুটস খেলে ভাল হয়। ডিপ ফ্রায়েড মাটন, চিকেন বা অন্যান্য প্রোটিন খেলে হাইপার অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা বাড়ে। অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন হয়। তাই এর সঙ্গে পর্যাপ্ত জল বা ফলের রস থাকলে ডিহাইড্রেশন হয় না। নিয়মটা হল যতটা অ্যালকোহল নেবেন তার চার গুণের কিছুটা বেশি জলপান করতেই হবে। এই ভাবে হ্যাংওভারের সমস্যাকে দূরে রাখা যায়। অর্থাৎ কেউ যদি ২০০ মিলিলিটার মদ্যপান করেন তার বাড়তি এক লিটার জলপান করা দরকার। ডায়াবেটিস বা হার্ট ডিজিজ থাকলে এবং তা নিয়ন্ত্রণে থাকলে বড় এক পেগের বেশি অ্যালকোহল না নেওয়াই ভাল।

Advertisement

আরও পড়ুন, পার্টি করছেন? আমার কাছে জেনে নিন কিছু টিপস

ফল ও ফলের রস অ্যালকোহলের টক্সিসিটি কাটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। তাই ফ্রুট জুস সহযোগে মদ্যপান করলে হাংওভারের ভয় থাকে না। খালি পেটে মদ্যপান করলে এক দিকে অ্যাসিডিটি অন্য দিকে ডিহাইড্রেশন হয়ে শরীর খারাপ লাগে। গ্রিল্‌ড চিকেন, নাটস বা এই ধরনের কোনও খাবার খেয়ে ককটেল নিন। হার্ড ড্রিঙ্ক সরাসরি না খেয়ে বরফ জল, সোডা বা ফ্রুট জুস দিয়ে পান করলে হ্যাংওভারের সমস্যা হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement