৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছি। এ বার হয়তো পার্টি। হয়তো বললাম, কারণ এখনও আমি কিছুই জানি না। প্ল্যান করার দায়িত্ব নুসরত, সায়ন্তিকা…ওদের ওপর। তবে আমাদের হাউজ পার্টি জাস্ট জমে যায়। কী কী পাগলামো যে হয়, আমরাই জানি। পুরো রকিং। সব ধরনের গান বাজানো হয়। হয়তো নাচতে নাচতে হঠাত্ দেখলাম যে ভাষায় মিউজিক চলছিল তা বদলে গিয়ে অন্য ভাষায় কিছু চলতে শুরু করেছে…আমরাও তার সঙ্গেই নেচে যাচ্ছি। এত হুল্লোড় হয় যে লিখে বোঝানো মুশকিল। হা…হা…হা।
ফার্স্ট জানুয়ারিতে একটা সময় দারুণ আনন্দ করতাম। আমার ১৩ জন বন্ধুদের একটা বড় দল ছিল সে সময়। জলপাইগুড়িতে তখন একটাই বড় পার্ক ছিল। তিস্তা উদ্যান। সকাল ১১ টায় বেরিয়ে যেতাম দল বেঁধে। সারাদিন ঘুরতাম। বাড়ি থেকে ১০০ টাকা দিত হাতখরচ। আর তখন ১০০ টাকা মানে অ-নে-ক। সে দিন ফুচকা, আইসক্রিম কিছুই বাদ দিতাম না। যা ইচ্ছে করত খেয়ে ফেলতাম। শুধু ১০ টাকা বাঁচিয়ে রাখতাম। যাতে রিক্সা করে বাড়ি ফিরতে পারি। সন্ধে সাতটার মধ্যে বাড়ি ফেরাটা মাস্ট। নতুন বছর মানে মা একটা নতুন জামা কিনে দেবে, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করব…। ওই দিনগুলো সত্যি খুব মিস করি।
আরও পড়ুন, ‘হাউস পার্টিতে আমি ডিজে হব’
২০১৬ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আশা করব, প্রার্থনা করব যাতে ২০১৭ ভাল যায়। কোনও বছরই ১ জানুয়ারি বলে আলাদা করে কোনও রেজোলিউশন নেওয়া হয় না। আসলে ওভাবে রেজোলিউশনে বিশ্বাসী নই আমি। যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কোনও কিছু করব ভাবলে, মানে ওই রেজোলিউশন— যে কোনও দিন, যে কোনও মুহূর্ত থেকে শুরু করা যায়। তার জন্য আলাদা করে বছরের প্রথম দিনটা বেছে নিতে হবে কেন?
এনিওয়ে, আমি আসলে অত কিছু ভাবি না। যখন যা হবে দেখা যাবে। উইশ ইউ অল আ ভেরি হ্যাপি নিউ ইয়ার। খুব ভাল কাটুক নতুন বছর।