Akshay Tritiya 2020

জগন্নাথ পুজো ফেসবুক লাইভে

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার জন্য এ দিন মন্দিরে ভক্ত সমাগম একেবারেই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২০ ০২:০৪
Share:

অনাড়ম্বর: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মাহেশের জগন্নাথের ‘চন্দনযাত্রা’ উৎসবে মেতে থাকে মন্দির চত্বর। এ বছর ঘরোয়া ভাবেই সারা হল পুজো। নিজস্ব চিত্র

প্রথা অনুযায়ী রবিবার, অক্ষয় তৃতীয়ার সকালে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে হল ‘চন্দনযাত্রা উৎসব’। সেই উপলক্ষে বিশেষ পুজো, আরতি হয়। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার কপালে চন্দন লেপে দেওয়া হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার জন্য এ দিন মন্দিরে ভক্ত সমাগম একেবারেই হয়নি। ভক্তদের জন্য ফেসবুকে ‘লাইভ’ করে পুজো দেখানো হয়। মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী জানান, এই দিনে তিন দেবতার মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সেই যন্ত্রণা উপশমের জন্যই বিগ্রহের কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়। টানা ৪২ দিন তা করা হয়। তাতেও মাথাব্যথা না সারায় পরের দিন ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল এবং দেড় মণ দুধ দিয়ে তাঁদের স্নান করানো হয়। কিন্তু তাতে উপশম দূরঅস্ত্, দেবতারা জ্বরে জবুথবু হয়ে পড়েন। তখন কবিরাজ ডেকে তাঁদের পাঁচন দেওয়া হয়। স্নানযাত্রার ১৫ দিন পরে রথে চেপে তিন দেবতা মাসির বাড়ি (জগন্নাথের সখী পৌর্ণমসি) যান। এ বার ৫ জুন স্নানযাত্রা। রথযাত্রা ২৩ জুন। সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক পুরীর রথযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরাও আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি, স্নানযাত্রা এবং রথযাত্রা উৎসবে যেন কোনও সমস্যা না হয় তা যেন তিনি দেখেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement