শুধু ঘুমোতে চাই
মুনমুন সেন
অভিনেতা
তৃণমূল কংগ্রেস
নির্বাচন কেন্দ্র: বাঁকুড়া
মুনমুন সেন
টেনশন হলে কী করেন?
আমার টেনশন হয় না। সত্যিই কোনও টেনশন নেই। যদি টেনশন হয় কোনও বিষয়ে, আমি আমার স্বামীর সঙ্গে বসে কথা বলি। কথা বললে সব কিছু একটা পারস্পেকটিভে দেখা যায়।
এখন টেনশন হচ্ছে?
না। আমার ইলেকশন নিয়ে একদম কোনও স্ট্রেস নেই। কোনও প্রেশার নেই।
কী করছেন এখন?
এই সবে কলকাতায় ফিরেছি। আমি খুব-ই টায়ার্ড। ক্লান্ত। তাই এখন শুধু রেস্ট নিতে ইচ্ছে করছে।
সিনেমা দেখার কোনও প্ল্যান আপাতত নেই। শুধু ঘুমিয়ে কাটাতে চাই এই ক’টা দিন। জাস্ট বিশ্রাম নেব।
আমি জানি আমি হারব
রাখি সাওয়ন্ত
অভিনেতা
রাষ্ট্রীয় আম পার্টি
নির্বাচন কেন্দ্র: উত্তর পশ্চিম মুম্বই
রাখি সাওয়ন্ত
টেনশন হলে কী করেন?
খুব বেশি খাওয়াদাওয়া করি। ডায়েটিং ভুলে যাই।
এখন টেনশন হচ্ছে?
না। কারণ আমি জানি আমি হারব! আমি খুব ভুল করেছি। আমার উচিত ছিল বিজেপির হয়ে বাপ্পি লাহিড়ি যে নির্বাচনী কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে দাঁড়ানো। মুম্বইয়ের পলিটিক্সটা খুব খারাপ। লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে একজন প্রার্থীর কম করে ১০ থেকে ২০ কোটি দরকার। আমি প্রচার করলাম। লোকের বাড়ি বাড়ি গেলাম। বস্তিতে গিয়ে বললাম জলের ব্যবস্থা করব, রাস্তা তৈরি করব। কিন্তু সব কিছু শুনেও লোকে শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করল আমি কত টাকা দেব ভোট দেওয়ার জন্য! সে টাকা আমি দেব কী করে? আমার পার্টির লোকেদের হঠাত্ করে কিনে নেওয়া হল। এ সব দেখে আমি এখন কোমাতে চলে গিয়েছি। তাই টেনশন হচ্ছেই না। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতি তো এ সবের সামনে একদম বাচ্চাদের খেলা মনে হচ্ছে।
তা হলে এখন উপায়?
আমি একদম চিলড্ আউট আছি। সিনেমা দেখছি না। তবে দু’টো গান শুনছি ‘মুঝকো ইস রাত কী তনহাই মে আওয়াজ না দো’ আর ‘ইতনি শক্তি হমে দে না দাতা, মনকা বিশ্বাস কমজোর হো না’।
ভেবেছি তাই ম্যাসাজ নেব
রবি কিষেন
অভিনেতা
কংগ্রেস
নির্বাচন কেন্দ্র: জৌনপুর
রবি কিষেন
টেনশন হলে কী করেন?
অনেক জল খাই। বারবার করে চুলে বিলি কাটতে থাকি।
এখন টেনশন হচ্ছে?
মিথ্যে কথা বলব না। খুব টেনশন হচ্ছে। আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে আজ ভোটিং। কেউ জানে না কে জিতবে, কে হারবে। কেউ বলছে আমার জেতার চান্স ভাল। দেখুন, জীবনে অনেক হিট আর ফ্লপ দেখেছি। তবে ইলেকশনের রেজাল্টের আগে যে টেনশন, সেটা কিন্তু ছবি মুক্তির আগের টেনশনের থেকে অনেক বেশি। তবে এটুকু জানি যে, হেরে গেলে মরে যাব না। তবে প্রচুর প্রেশার রয়েছে আমার ওপর। বাচ্চারা বাড়িতে বলছে ‘পাপা উইন, পাপা উইন’। বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন। তাঁরাও আশা করে আছেন। তাই টেনশন যথেষ্ট রয়েছে।
তা হলে উপায়?
সামনে আমার একটা ফিল্ম রিলিজ রয়েছে। কিন্তু এতটা টেনশন যে ফিল্মের নামটাই মনে করতে পারছি না। ১২ মে থেকে ১৬ মে-র মধ্যে কোনও ফিল্ম দেখা বা ডাবিং করা নিয়ে ভাবতেও পারছি না।
সুফি গান শুনব ঠিক করেছি। তা ছাড়া সাঁতার কাটব আর তাই ম্যাসাজ নেব। তবে মহিলাদের থেকে ম্যাসাজ নেব না।
যেন লেবার পেন হচ্ছে
শতাব্দী রায়
অভিনেতা- পরিচালক
তৃণমূল কংগ্রেস
নির্বাচন কেন্দ্র: বীরভূম
শতাব্দী রায়
টেনশন হলে কী করেন?
নিজের ইচ্ছে মতো চলতে চেষ্টা করি তখন। অপ্রয়োজনীয় বকবক শুনতে তখন ভাল লাগে না।
এখন টেনশন হচ্ছে?
আমাদের কেন্দ্রে ভোটিং হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমি তো প্রচারে ব্যস্ত থেকেছি। ১০ তারিখ অবধি প্রচার। তার পর কলকাতায় ফিরে ভোট দেওয়া। কাউন্টিং শুরু হলে তখন থেকে প্যালপিটেশন শুরু হবে। চিন্তা হবে লিড কতটা বাড়বে তা নিয়ে।
কী করবেন তখন?
আসলে এখন ফিলিংটা অনেকটা যখন ৭/৮ মাস প্রেগনেন্ট ছিলাম, তার মতো লাগছে। সে সময় শাশুড়িকে বলতাম উফ্, আর পারছি না। এ বার বাচ্চা হয়ে গেলেই ভাল হয়। শাশুড়ি বলতেন, বাচ্চা হলে অনেক কাজ। ইলেকশন রেজাল্টটাও তাই। এখন মনে হচ্ছে কেউ যদি রেজাল্টটা বলে দিত! তবে এটাও ঠিক যে রেজাল্ট বেরোনোর পরেই কিন্তু আসল কাজ শুরু। তবে ছবি মুক্তির আগের দিনের টেনশন থেকে ইলেকশনের আগের দিনের টেনশনটা একদম আলাদা। ফিল্মের ক্ষেত্রে সোমবারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে দিন বোঝা যায় ফিল্ম চলবে কিনা। কিন্তু ইলেকশনের রেজাল্ট যখন বেরোয়, তখন আর অপেক্ষার কোনও ব্যাপার থাকে না।
এখন স্ক্রিপ্ট লিখছি
বাবুল সুপ্রিয়
গায়ক-অভিনেতা
বিজেপি
নির্বাচন কেন্দ্র: আসানসোল
বাবুল সুপ্রিয়
টেনশন হলে কী করেন?
আমার মাথাটা খুব ঠান্ডা। তাই নিজেকে নিয়ে টেনশন হয় না। যেটুকু হয় তা আমার মেয়েকে নিয়েই। ও যদি বাড়ি ফিরতে দেরি করে তখন টেনশন হয়। সেই সময় চোখ বন্ধ করে জোর করে গান শুনি।
এখন টেনশন হচ্ছে?
এটা শুধু নির্বাচন নয়। আমি অনেক কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। যে ভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে আমি বুঝেছি যে জিততেই হবে আমাকে। আমি চাই জিততে। আমার কাছের মানুষেরা জানেন যে, আমি টেনসড হওয়ার মানুষ নই। আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যাপক হারে রিগিং হয়েছে। তবুও আমরা রিপোল চাইনি। আমি জানি যে কোনও জিনিস হয়ে যাওয়ার পরে টেনশন করে লাভ নেই।
কী করছেন এখন?
সিনেমা দেখেছি। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ দেখলাম। জিম ক্যারির ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’ দেখলাম। ল্যাপটপে ‘নায়ক’য়ের কিছু অংশ দেখলাম অনেক রাত অবধি। পুজোর অ্যালবাম ‘বাবুল বাউল’য়ে কোন গানগুলো থাকবে সেটার বাছাই করলাম। একটা হিন্দি ছবি পরিচালনা করব ঠিক করেছি। স্বপ্নপূরণের গল্প হবে সেটা। সেই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য আর সংলাপ আমার লেখা। সেটার কাজটা খানিকটা এগিয়ে রাখলাম।
এ ছাড়াও কি স্পেশাল কোনও স্ট্রেস বাস্টার আছে?
সব কথা বলা হল, বাকি রয়ে গেল শুধু বলিতে...( হাসি)
হারলেও সেলিব্রেট করব
মহেশ মঞ্জরেকর
পরিচালক-অভিনেতা
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা
নির্বাচন কেন্দ্র: উত্তর-পশ্চিম মুম্বই
মহেশ মঞ্জরেকর
টেনশন হলে কী করেন?
বিশ্বাস করুন, আমার কখনওই টেনশন হয় না। কারণ আমি জানি যা হওয়ার, সেটা হবেই। শুধু ইলেকশন নয়, ছবি মুক্তির আগেও আমার কোনও দিনই কোনও টেনশন হয় না।
আপনার নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। এখন কী করছেন?
আমার একটা ছবি নিয়ে কাজ করছি। আনটাইটেলড ছবি। হিন্দি আর তামিলে বানাচ্ছি। ভোট হয়ে যাওয়ার পর, আমি সেটার পোস্ট-প্রোডাকশনে কাজ করলাম।
রেজাল্ট বেরোলে কী করবেন?
জিতলে তো আমি সেলিব্রেটকরবই। আর হারলেও সেলিব্রেট করব। হয়তো পার্টি করব। নাচব। ফিল্মে আমার নিজের গানগুলোতে তো সে ভাবে নাচা যায় না। তাই অন্যদের হিট গানের সঙ্গে নাচব। হয়তো ‘পার্টি অভি বাকি হ্যায়’-এর সঙ্গে নাচব আমি।