অর্জুনের লক্ষ্যভেদ

বলিউডের ১০০ কোটি ক্লাবের সদস্যের মধ্যে কনিষ্ঠতম নায়ক তিনি। অর্জুন কপূর। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্তবলিউডের ১০০ কোটি ক্লাবের সদস্যের মধ্যে কনিষ্ঠতম নায়ক তিনি। অর্জুন কপূর। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০০:০০
Share:

এখনও ৩০ হয়নি। ইতিমধ্যেই বলিউডের ১০০ কোটি ক্লাবের কনিষ্ঠতম নায়ক হিসেবে নাম লিখিয়ে নিয়েছেন তিনি। দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’র ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার দু’দিনের মধ্যে প্রায় কুড়ি লক্ষ দর্শক দেখে ফেলেছেন। বলিউডের নবীন বরণ উৎসবে অর্জুন কপূর এখন হট প্রপার্টি। শুধু সাফল্য নয়, বলিউডি গসিপের কেন্দ্রবিন্দুও তিনি।

Advertisement

বনি কপূর-পুত্র জন্মসূত্রে ফিল্মি পরিবেশে মানুষ। কাকা অনিল কপূর। সোনম কপূর তাঁর খুড়তুতো বোন। পারিবারিক অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি জেনে এসেছেন যে তারকাজীবনে সাফল্যের সঙ্গে ফ্রিতে গুজব পাওয়া যায়। চারটে ছবি

‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’তে অর্জুন

Advertisement

করেছেন। ইতিমধ্যেই দর্শক ‘গুন্ডে’তে তাঁর সহ-অভিনেতা রণবীর সিংহের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব আছে কি নেই তা নিয়ে আলোচনা করা শুরু করে দিয়েছেন। ‘টু স্টেটস’য়ে তাঁর সহ-অভিনেত্রী (আলিয়া ভট্ট)-র সঙ্গে লিঙ্ক আপ নিয়ে রটনা কম হয়নি। হালফিলে আবার তাঁর আর মালাইকা অরোরা খানের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে অস্বস্তিকর জল্পনা চারিদিকে!

অর্জুন অবশ্য জোর দিয়ে বলছেন যে প্রায় আট বছর হল কোনও সম্পর্কে আবদ্ধ নন তিনি। এক সময় সলমন খানের বোন অর্পিতা খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। তবে দু’বছরের মাথায় সেটা ভেঙে যায়। তারপর থেকেই নাকি তিনি সিঙ্গল। মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন ঠিকই। শারীরিক সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেননি তিনি। নো স্ট্রিংস অ্যাটাচড্ সম্পর্ক যাকে বলে। কিন্তু বিশেষ সম্পর্ক? সে গুড়ে বালি!

কথা বলতে গিয়ে পুরনো দিনে ফিরে যান অর্জুন। একটা সময় ছিল যখন নিজের ঘরের দেওয়ালে হট মহিলার ছবি টাঙাতেও ভয় পেতেন। কারণ? তখন তাঁর ওজন ছিল ১৪০ কেজি। কোনও ফ্যাশনদুরস্ত জামাকাপড় পরতে পারতেন না। আমেরিকার ফুবু ব্র্যান্ডের ফুটবল জার্সি পরে ঘুরে বেড়াতেন। তাই ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল ফুবু। ভাবতেন হট মেয়েরা তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হবে না। “সঙ্কোচ হত নিজেকে নিয়ে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও বলব যে, আমি হলাম ‘লেট ব্লুমার’। দেরিতে ফোটা কুঁড়ির মতো। এখন লস্ট টাইমটা মেক আপ করছি,” বলেন অর্জুন। দেরিতে শুরু করলেও এখন তো বেশ কয়েক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে হয়ে গেল। মাঝেমধ্যে মনে হয় সম্পর্ক থাকলে মন্দ হত না। আবার পরের মুহূর্তে মনে হয় এই বেশ ভাল আছেন। কাউকে সব সময় উত্তর দিতে হচ্ছে না।

তবে তাঁর মতে কোনও পুরুষমানুষকে আদর্শ প্রেমিক হতে গেলে নাকি ভাল শয্যাসঙ্গী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হতে হবে ভাল শ্রোতাও। আর অর্জুনের চিত্রাঙ্গদা হতে গেলে চাই এমন এক নারী যিনি হবেন সৌন্দর্য আর ইন্টেলেকচুয়াল স্টিমিউলেশনের এক দারুণ মিশ্রণ! এই ২৯তম জন্মদিনে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তাতে মজার মজার কমেন্ট পোস্ট করছেন। আবার গাজার বম্বিং নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। কেউ বলছেন নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসার এ যেন অর্জুনের সচেতন প্রচেষ্টা। কয়েক বছর আগেও তো তাঁকে এ ভাবে দেখা যেত না। একটা গুরুগম্ভীর ইমেজ ছিল তাঁর। অনেকে ভাবতেন তাঁর খুব অ্যাটিটিউড আছে। “পারসেপশন তৈরি হয়ে যায় নানা কারণে। কিন্তু ক’জন জানেন আপনার আসল সত্তাটা কী? হ্যাঁ, আমি রিজার্ভড। খানিকটা লাজুকও। সহজে হড়হড় করে কথা বলতে শুরু করি না আমি। আসল ব্যাপারটা হল, মাই ফেস লুকস আ সার্টেন ওয়ে। ঢুলু ঢুলু চোখ।

এই সব নিয়ে লোকে একটা পারসেপশন তৈরি করে ফেলে। এতে আমার তো কিছু করার নেই,” খানিকটা হাল ছেড়ে দিয়ে বলেন তিনি।

এই যে বলা হয় আপনি নাকি খুব ‘লেড ব্যাক’... “আমি নিজের মতো করে থাকতে ভালবাসি। আপনার সঙ্গে এখন কথা বলছি। এর পর টিভিতে একটা ছবি দেখব। তার পর ডিনার করে শুয়ে পড়ব। পরের দিন ‘তেভর’য়ের শু্যটিং রয়েছে। কাজের বিষয়ে কোনও কুঁড়েমি নেই,” বলছেন তিনি।

বনি কপূর প্রযোজিত ‘তেভর’য়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? “একটা তেলেগু ছবির হিন্দি রিমেক এটা। যেহেতু দক্ষিণ ভারতের দর্শক ছবিটা একবার দেখেছেন, তাই আমরা এমন ভাবে ছবিটা বানাচ্ছি যাতে সর্বভারতীয় দর্শক রিলেট করার মতো কিছু পায়। বাবা খুব হ্যান্ডস-অন প্রযোজক। উনি আমার বাউন্সিং বোর্ড। দক্ষিণী ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডটা আমরা তুলে নিয়ে এসেছি মথুরাতে,” জানান তিনি।

‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ অবশ্য ‘তেভর’য়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ঘরানার। ‘বিয়িং সাইরাস’, ‘ককটেল’য়ের পরিচালক হোমি আডাজানিয়া এ ছবির প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছেছেন গোয়া। পাঁচটা অদ্ভুত চরিত্র। তার মধ্যে অর্জুন একজন। নাম স্যাভিও। গায়ে তিনটে ট্যাটু। একটা আবার ঠিক ঘাড়ের নীচে। চোখে গোল গোল চশমা। ফ্রেঞ্চ বিয়ার্ড। ট্রেলারের একটা দৃশ্যে স্যাভিও এক বয়াম ভর্তি ফলস্ দাঁতের দিকে তাকিয়ে থাকে। অন্য একটা দৃশ্যে তাকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায় দীপিকার সঙ্গে। অন্ধকারের মধ্যে দু’টি শরীর মিলিত হওয়ার আগে স্যাভিও-র কানে দীপিকা ফিসফিস করে বলেন যে এ রকম মুহূর্ত আরও আসবে জীবনে। ছবিতে দীপিকা অভিনয় করেছেন এক এক ‘কুমারী’ বিধবার চরিত্রে। যার স্বামী (রণবীর সিংহ) বিয়ের রাতেই কেক খেতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মারা যান। তার পর তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্যাভিও। অর্জুন অবশ্য গল্পের এই সম্পর্ক নিয়ে আর কিছু খোলসা করতে নারাজ। “সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাবে ছবিটা। এখনই সব ফাঁস করব না,” বলেন অর্জুন।

তবে এ কথা তিনি ভালই জানেন যে তাঁর ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’ আর ‘তেভর’য়ের সহ-অভিনেত্রী দীপিকা আর সোনাক্ষী সিংহ এর আগে অনেক সিনিয়র তারকাদের সঙ্গে ছবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দীপিকা বা সোনাক্ষীর নায়ক হিসেবে অভিনয় করতে গেলে কি নিজেকে একটু কনশাস মনে হয়? যেটা হয়তো আলিয়া ভট্ট বা পরিনীতি চোপড়ার ক্ষেত্রে হয়নি? “না। যখন কাজ করি তখন কোনও ব্যক্তিগত বা পেশাদার ব্যাগেজ থাকে না। তখন আমি কাজ নিয়েই মগ্ন থাকি। ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’তে তো নাসিরুদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কপূর আর ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গেও কাজ করলাম। দারুণ এক্সাইটিং।” আর দীপিকা? সোনাক্ষী? সহ-অভিনেত্রী হিসেবে কেমন তাঁরা? “দীপিকাকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি। দারুণ ডেডিকেটেড অভিনেত্রী ও। আর সোনাক্ষী হল পাক্কা পেশাদার। খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে। এখনও সোনাক্ষী সম্পর্কে কথা বললে প্রথমেই ওর তারকা পরিচিতিটাই উঠে আসে। তার পর ওর অভিনেত্রী সত্তা নিয়ে কথা হয়। অভিনেত্রী হিসেবে সোনাক্ষী বেশ আন্ডাররেটেড,” বলেন অর্জুন।

এক সময় ‘সালাম এ ইশ্ক’য়ে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। কখনও কি মনে হয়েছে যে নায়ক হয়ে গেলে বাস্তবের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগটা কমে যাবে? ১০০ কোটি ক্লাবের সদস্য বলে এখন তো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভেলপুরি খেতে পারবেন না... উত্তরে বললেন, “আগে জীবনটা অনেক সহজ ভাবে চলত। আজকে যদি কারও সঙ্গে গিয়ে সিনেমা দেখি, তা হলে ভাবতে হবে সেটা কেউ ভুল ভাবে ইন্টারপ্রিট করবে কি না। অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা পরিচিতি এসে যায়। এখন আমাকে চেষ্টা করতে হয় যাতে নিজের প্রাইভেসিটা গার্ড করতে পারি। তাই বলে এই নয় যে বাস্তবের সঙ্গে আমার যোগাযোগটা ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”

অভিনেতা হিসেবে নিজেকে ১০-এ কত নম্বর দেবেন তিনি? “১০-এ ৩ কি ৪ দেব। আরে, মাত্র চারটে ছবি করেছি। এর থেকে বেশি দিলে তো নিজের আর শেখার কিছু থাকবে না। এখনও তো অনেক পথ চলা বাকি,” বলেন তিনি।

তবে ইতিমধ্যেই সিনেমা তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। “সিনেমা নিমেষের মধ্যে মুড পাল্টে দিতে পারে। আই বিকাম আ হ্যাপিয়ার পার্সন আফটার ওয়াচিং আ মুভি। পেশাদার জীবনে সিনেমা আমাকে পাল্টে দিয়েছে। সিনেমা মানে শুধু নাচগান নয়। পরিশ্রম। ডিসিপ্লিন। ম্যান ম্যানেজমেন্ট। আর রেসপনসিবিলিটি। নিজেকে শেষ পর্যন্ত পুশ করতে শিখিয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা হল সিনেমা টট মি হাউ টু বি আ ম্যান!”

শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে, অর্জুন অভিনীত ‘টু স্টেটস’য়ের বক্স অফিসের রোজগার ১০২ কোটি টাকা। বক্স অফিস থেকে ‘গুন্ডে’ পেয়েছিল ৭৮.৬ কোটি টাকা। ‘ইশকজাদে’ আটকে ছিল ৪৮ কোটি টাকায়। এই ক্রমবর্ধমান বক্স অফিস কালেকশন দেখে কি তিনি আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে পড়ছেন? নাকি প্রতিযোগিতাপরায়ণ? “উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে নেই তা বলব না। কিন্তু আমি কোনও দৌড়ে নেই। যদি কনসিস্টেন্টলি কাজ করে যাই একমাত্র তা হলেই লোকে আমাকে লক্ষ করবে। আজকে ১০০ কোটি নিয়ে কথা হচ্ছে। কালকে ২০০ কোটি নিয়ে কথা হবে। এই সব নম্বরগুলো একদম ক্রিয়েট করা হয়। প্রতিযোগিতা ব্যাপারটাও তাই। অন্যের কথা ভাবি না। বরং বলব নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য আমি খাটতে রাজি।”

আর ব্যক্তি অর্জুনকে? কত নম্বর পাবেন সেখানে? “সাড়ে ৬ দেব। নিজেকে মিথ্যে বলে আমি হয়তো বলতে পারি আমি পারফেক্ট। কিন্তু সেটা তো সত্যি নয়। এখন মাত্র ২৯ বছর বয়স আমার। ফ্যামিলি পার্সন হিসেবে কেমন পারফর্ম করব, তা তো এখনও জানি না,” পরিণত শোনায় তাঁকে।

পরিবারের কথা উঠতেই তাঁর মায়ের প্রসঙ্গ চলে আসে। বনি কপূরের সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পরে অর্জুন আর তাঁর বোনকে আগলে আগলে মানুষ করেন মা মোনা কপূর। নানা রকমের লেখালেখি সত্ত্বেও শ্রীদেবীর বিরুদ্ধে কখনও কথা বলেননি অর্জুন। শুধু বলেছেন তাঁর কাছে শ্রীদেবী হলেন তাঁর বাবার স্ত্রী। এবং সেই সূত্রে ওঁকে সম্মান করে এসেছেন। সম্পর্কের জটিলতা মেনে নিয়েই তাঁর বড় হওয়া। তবে সেখানে ছন্দপতন ঘটেছিল ঠিক তাঁর ডেব্যু ছবি ‘ইশকজাদে’ মুক্তির আগে। অকস্মাৎ মায়ের মৃত্যু। “মনে হয়েছিল রাতারাতি আমি বড় হয়ে গিয়েছি। নাথিং কোয়াইট অ্যাফেক্টস মি এনিমোর,” বলেন তিনি।

শ্যুটিং করা, ছবির সাকসেস পার্টি, বন্ধুদের সঙ্গে ইয়ার্কি, ফ্যানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার আনন্দের বাইরে আজও পড়ে থাকে কিছু নিঃসঙ্গ মুহূর্ত। কালের নিয়মে মাকে হারানোর ক্ষতগুলো সাময়িক ভাবে সেরে ওঠে ঠিকই। কিন্তু হঠাৎ অজানা কারণে আবার সে দুঃখটা মোচড় দিয়ে ওঠে। তখন কোথায় ১০০ কোটি ক্লাবে নাম লেখানোর আনন্দ? কোথায় বা ট্রেলারে হিট হওয়ার ভাল লাগা? সেখানে শুধুমাত্র একাকীত্ব। মায়ের জীবদ্দশায় এই জনপ্রিয়তা না দেখতে পাওয়ার আফসোস। শুরু হয় পুরনো দগদগে ক্ষতগুলোতে নতুন করে মলম লাগানোর কাজ। তবে সে কাজ হয় নিভৃতে। প্রিমিয়ারের সন্ধের হাজার ঝাড়বাতির আলোতে বা শ্যুটিংয়ের ক্যামেরার সামনে সেই শুশ্রূষার প্রক্রিয়া ধরা পড়ে না। সেখানে শুধু শিরোনাম হয়ে থাকে তাঁর লক্ষ্যভেদের কাহিনি।

এ বার ট্রেলার দেখার আমন্ত্রণ

ছবি দেখার জন্য অনুরোধ করাটা অস্বাভাবিক নয়। আর তার জন্যই ছবির ট্রেলার তৈরি হয়। তবে এর আগে বলিউডে আলাদা করে একটা ভিডিয়ো শু্যট করে ছবির ট্রেলার দেখার অনুরোধ করতে শোনা যায়নি কখনও। সম্প্রতি একটা ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে ইউটিউবে। সেখানে ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি’র অভিনেতারা বিভিন্ন কারণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন ছবির ট্রেলারটা দেখা উচিত! আর এই সেলিব্রিট্রিদের মধ্যে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ডিম্পল কাপাডিয়া এবং পঙ্কজ কপূরও। এই ভিডিয়োর অবশ্য অন্যতম চমক হল দীপিকা পাড়ুকোন আর অর্জুন কপূরের কেমিস্ট্রি। অর্জুনের গালে হালকা করে কিস করছেন দীপিকা।

আর সেই ভিডিয়ো ইউটিউবে দেখে ফেলেছেন ১৩ হাজারের বেশি দর্শক।

এই ফিল্মের ট্রেলার প্রোমোট করাটাও কি বলিউডের নতুন মার্কেটিং স্ট্র্যাট্রেজি? হয়তো বা তাই। ছবির প্রোমোশনাল স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার সময় আজকাল সব থেকে বেশি দরকার আউট-অব-দ্য-বক্স আইডিয়া। একসময় মিডিয়া দফতরে এসে তারকাদের ছবি প্রোমোট করাটা ইউনিক বিষয় ছিল। তারপর শুরু হল প্রত্যেক ফিল্মের অ্যালবাম না রিলিজ করে তার একটা গান (অর্থাৎ সিঙ্গল)কে আলাদা ভাবে প্রোমোট করার হিড়িক। ট্রেলার প্রোমোট করে ভিডিয়ো লঞ্চ করাটাও হয়তো ফিল্ম প্রোমোশনের আরও একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শ-এর মতে এই রকম একটা ভিডিয়ো বলিউডের ফিল্ম মার্কেটিংয়ে একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু করবে। বলছেন, “কী ওয়াকি একটা কনসেপ্ট! ছবির অভিনেতারাই জিজ্ঞেস করছেন কেনই বা কষ্ট করে দর্শক ট্রেলারটা দেখবেন? ডিম্পল নিজেই প্রশ্ন করছেন যেহেতু তিনি ছবিতে অভিনয় করেছেন, তাই তাঁর আবার ট্রেলার দেখার কী দরকার? অদ্ভুত একটা কনসেপ্ট। আমি কোনও দিন বলিউডে এ রকম একটা ভিডিয়ো দেখিনি। ভবিষ্যতে অন্যান্য ছবিও হয়তো এ রকম ট্রেলারকে প্রোমোট করে ভিডিয়ো তৈরি করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement