যশও পামেলার শরণাপন্ন হতেন সিনেমার নারীচরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গি ভাল করে বুঝে নিতে। —ফাইল চিত্র
৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বলিউড প্রযোজক যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলা চোপড়া। প্লেব্যাক গায়িকা ছিলেন তিনি। যশ প্রযোজিত বহু ছবিতে গান গেয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন পামেলা। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুত্র আদিত্য চোপড়া এবং পুত্রবধূ রানি মুখোপাধ্যায়। ‘যশরাজ ফিল্মস’ প্রযোজনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেলা ১১টা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে পামেলার।
গত ১৫ দিন ধরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ক্রমেই অবস্থার অবনতি হচ্ছিল পামেলার। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয় না। ২০ এপ্রিল সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
‘যশরাজ ফিল্মস’ প্রযোজনা সংস্থার অনেক ছবির নেপথ্যেই ছিলেন পামেলা। চিত্রনাট্য লেখা থেকে শুরু করে পোশাক পরিকল্পনা, এমনকি, সহ-প্রযোজনার কাজও করেছেন। এ বছরই নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র ‘দ্য রোম্যান্টিক্স’-এ দেখা গিয়েছে পামেলাকে। যেখানে তিনি যশের কৃতিত্ব, সংগ্রাম এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছেন।
পামেলার জীবন ছিল কর্মময়। যশ চোপড়ার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরোদমে কাজ করে গিয়েছেন পামেলা। ‘কভি কভি’ (১৯৭৬) থেকে ‘লমহে’ (১৯৯১) পর্যন্ত বহু ছবিতে একত্র অবদান রয়েছে স্বামী-স্ত্রীর, যা অনেকেই জানেন না। যশও পামেলার শরণাপন্ন হতেন সিনেমার নারীচরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গি ভাল করে বুঝে নিতে।
১৯৯৭ সালের ছবি ‘দিল তো পাগল হ্যায়’-এর চিত্রনাট্যও ছেলের সঙ্গে লিখেছিলেন পামেলা। এক বার পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন যশ-পত্নী।