‘জব হ্যারি মেট সেজল’ ছবির একটি দৃশ্যে শাহরুখ খান।
বক্স অফিসে তেমন সুবিধা করতে পারেনি শাহরুখ-অনুষ্কার ‘জব হ্যারি মেট সেজল’। কিন্তু এই ছবিতে একটি মাত্র দৃশ্যে শাহরুখের ব্যবহার করা একটি ‘দোপাট্টা’-কে ঘিরে পশ্চিম সিংভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের কয়েকজন আদিবাসী মহিলা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে পর্তুগালের একটি ট্রামে আরোহী শাহরুখ খান। মাথায় বাঁধা একটি দোপাট্টা। ওই দোপাট্টাটি কুইয়ানি গ্রামের আদিবাসী মেয়েদের হাতে তৈরি।
আসলে কুইয়ানি গ্রামের এই দোপাট্টাটি শাহরুখের হাতে পৌঁছেছিল ছবির পরিচালক ইমতিয়াজ আলির মা, রাজিয়া আলির হাত ধরে। হ্যান্ডলুম টেক্সটাইল নিয়ে পড়াশোনা করা সৌরভ মাহাতো জামশেদপুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের কুইয়ানি গ্রামের ১৫ জন আদিবাসী মহিলাকে নিয়ে তৈরি করেছেন একটি সংস্থা। আদিবাসী সংস্কৃতির বৈশিষ্ঠ্য জড়ানো শাড়ি, চাদর, দোপাট্টা তৈরি করে তা বিক্রিবাটার চেষ্টা করে থাকে সংস্থাটি। জামশেদপুরের একটি কাফেতে তা বিক্রির জন্য রাখা হয়। সেখানেই কয়েকটি দোপাট্টা নজরে পড়ে রাজিয়াদেবীর।
আরও পড়ুন:প্রয়াত শোভা সেন
সৌরভবাবু জানান, ইমতিয়াজ আলি জামশেদপুরের ছেলে। ওদের অনেক আত্মীয়স্বজন এখনও এখানে থাকেন। সেই সূত্রে রাজিয়া দেবী মাঝে মধ্যে আসেন এখানে।
রাজিয়া দেবী তাঁদের জানান, ইমতিয়াজের ছবির শ্যুটিঙের সময় তিনি পর্তুগালে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল কুইয়ানির একটি দোপাট্টা। শ্যুটিং চলাকালীন শাহরুখের একটি দোপাট্টার প্রয়োজন হয়। ইমতিয়াজ মায়ের কাছে থাকা দোপাট্টাটি শাহরুখকে দেখান। শাহরুখের পছন্দ হয়ে যায়। বাঁধেন মাথায়।
হয়তো পুরোটাই কাকতালীয়! কিন্তু এই ঘটনাই কুইয়ানি গ্রামের আদিবাসী মেয়েদের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। ছবি মুক্তি পাবার পরে শাহরুখকে ওই দোপাট্টা মাথায় জড়িয়ে অভিনয় করতে দেখে উচ্ছাসে ফেটে পড়েছেন লক্ষ্মী, গুরুমনি, অলকারা। লক্ষ্মী হাঁসদা বলেন, ‘‘আরও ভাল দোপাট্টা তৈরির স্বপ্ন দেখছি আমরা।’’