‘খড়কুটো’-তে হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটি ম্লান।
এমনই প্রশ্ন তুলেছে স্টার জলসার ‘খড়কুটো’। কেন? শুরু থেকে ভিন্ন পথের পথিক এই ধারাবাহিক। লকডাউনে ছোট পর্দায় এসেই মন জিতে নিয়েছিল যৌথ পরিবারের গল্প দেখিয়ে। যে পরিবারে খুনসুটি আছে। ক্ষতি করার মনোবৃত্তি নেই। বাড়ি ভর্তি শাশুড়ি, ননদ থাকলেও কূটকচালি নেই। অনু পরিবারের যুগে একান্নবর্তী পরিবারের সুর বেজে উঠতেই তাই মহাখুশি দর্শক।
সেখানেই এ বার অশান্তি, বিচ্ছেদের ঝড়। যার ধাক্কায় হাসি-ঠাট্টা, খুনসুটি ম্লান। যেমন? পুটুপিসির বিয়ের দিন থেকেই বেসুরো গুনগুন। বাবিন তাকে ভালবাসে? সে কি শুধুই তিন্নি দিদিকে চায়? এই দোলাচলে দুলে সে না পেরেছে পুটুপিসির বিয়ে উপভোগ করতে, না পেরেছে বাবিনের ডাকে সাড়া দিতে। গুনগুনের এই অভিমান মনখারাপ করে দিয়েছে ‘সৌগুন’ অনুরাগীদের। প্রশ্ন তাঁদের, ‘বড় হয়ে যাচ্ছে গুনগুন?’
অন্য দিকে, শ্বশুরবাড়িতে পা দিয়েই অপমানিত পুটুপিসি। মামিশাশুড়ি বয়স নিয়ে, চেহারা নিয়ে খোঁটা দিয়েছেন। কথা শোনাতে ছাড়ছে না দেবলীনা স্বয়ং। যার আত্মহত্যার চেষ্টাতেই বিয়ে ভেস্তে গিয়েছিল সুকল্যাণ-মেঘমালার। পরপর ঘটে যাওয়া এই সমস্ত ঘটনায় হতবাক দর্শকেরাও। পুটুপিসির পাল্টা আক্রমণকে সায় দিয়েও তাঁদের মন থেকে চাওয়া, ‘ধারাবাহিকে সবাই, সব আবার আগের মতো হয়ে যাক।’
গুনগুনের অভিমান মনখারাপ করে দিয়েছে ‘সৌগুন’ অনুরাগীদের।
অনুরাগীদের সেই আশা মিটবে? সম্প্রচারিত পর্ব বলছে, অভিমানী গুনগুন ‘একটু শান্তিতে পড়াশোনা করবে’ বলে চলে এসেছে ‘ড্যাডি’র কাছে। গুনগুনের মুখে এই কথায় শুনে গার্হস্থ্য হিংসার গন্ধ পেয়েছেন তার মা। তিনি ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব’ বলে তোলপাড় করছেন গোটা বাড়ি। পুটুপিসির হয়ে প্রতিবাদ জানালেও ততটা জোরালো নন সুকল্যাণ। ফলে, নতুন বৌয়ের একার প্রতিবাদ চোখে বিঁধছে সবার। পাশাপাশি, ভুল বুঝেছে সৌজন্যও। গুনগুনের রেখে যাওয়া চিঠি পায়নি কেউ। তাই না জানিয়ে চলে যাওয়ায় সবাই অসন্তুষ্ট তার উপর। অর্থাৎ, অশান্তি, অসন্তোষ দানা বাঁধতে চলেছে এই ধারাবাহিকেও।
তবে কি বাকি ধারাবাহিকের মতো শাশুড়ি-বৌমা দ্বন্দ্ব, সুখী দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা যাবে ‘খড়কুটো’তেও? দর্শকদের আশা, সাময়িক এই অশান্তি। সব মিটে গেলেই ফের হাসি-আনন্দে মুখর হবে মুখোপাধ্যায় পরিবার।