নামডাক কম নয়। দেশ জুড়ে তাঁর ভক্তও অগণিত। তাবড় নায়িকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন রণবীর কপূর। বলিউডের স্টার পরিবারের সন্তান। কিন্তু, বাবা ঋষি কপূরের কাছে এখনও তিনি ছোট্ট ‘ডাব্বু’-ই। এমনকী, এখনও মাঝেমধ্যেই ঋষি কপূর নাকি রণবীরকে মারতেও উদ্যত হন।
এমনই সব ঘটনার কথা জানা গেল সম্প্রতি প্রকাশিত ঋষি কাপুরের আত্মজীবনী ‘খুল্লম খুল্লা: ঋষি কপূর আনসেন্সরড’ থেকে। এই বইতে ঋষি তাঁর জীবনের বহু মজার ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। ঋষি কপূরের স্ত্রী নীতু কপূর এই বইয়ের শেষে তাঁর স্বামীর কয়েকটা অদ্ভুত স্বভাবের কথাও জানিয়েছেন। তার মধ্যে একটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্লেন টেক অফ এবং ল্যান্ড করার সময় আমাদের পরিবারের সবাইকে ঋষিকে মেসেজ করে ‘জয় মাতা দি’ লিখে পাঠাতে হয়।’’
আরও পড়ুন: ফোন সেক্সের কথা স্বীকার করলেন প্রিয়ঙ্কা!
এক বার রণবীর বিদেশে যাচ্ছিলেন। তিনি ঋষিকে বিমানে উঠে ‘জয় মাতা দি’ লিখে মেসেজ করেছিলেন। কিন্তু, কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের ফলে টেক অফ করতে কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়। অন্য দিকে, ঋষি কপূরও ছেলের মেসেজটি পেয়ে হিসেব করে নিয়েছিলেন রণবীরের বিমান কখন ল্যান্ড করবে। কিন্তু, রণবীরের থেকে কোনও মেসেজ না পেয়ে তিনি খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। পরে রণবীরের বিমান ল্যান্ড করলে তিনি ঋষিকে মেসেজ করেন। তখন ঋষি ছেলেকে ফোন করে নাকি খুব বকেছিলেন। ওই ট্রিপের পর বাড়ি ফিরলে রণবীরের কপালে জুটেছিল চরম শাসন। এমনকী, তাঁকে প্রায় মারতেও উদ্যত হয়েছিলেন ঋষি। শেষে নীতু কপূরের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন রণবীর।
ওই ঘটনার প্রসঙ্গে নীতু জানান, ‘বেশরম’ ছবির প্রচারের জন্য তাঁরা তিন জনেই একসঙ্গে অন্য শহরে যাচ্ছিলেন| টেক অফ করার পর রণবীর হাসতে হাসতে বলে ওঠেন “ভাগ্যিস তোমরা দু’জনেই আমার সঙ্গে আছো। আমাকে মেসেজ করে ‘জয় মাতা দি’ জানাতে হবে না। এই দায়িত্ব পালন করা যে কী কঠিন! সে দিনের কথা ভুলে গেলে! বাবা আমাকে শুধু মারতে বাকি রেখেছিলেন।’’