সম্প্রতি করিশ্মার পোস্ট করা ছবিতে এক মজাদার ঘটনার কথা জানা গেল। বিয়ের পর আলিয়ার ‘কলিরা’ রীতি পালনে সময়ে ‘কলিরা’টি করিশ্মার হাতে এসে পড়ে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি রণধীর কপূরের বড় কন্যা। উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। সূত্রের খবর, আনন্দের চোটে আলিয়া-রণবীরের বিয়ে উপলক্ষে বানানো কেকের উপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন নায়িকা।
রণবীর, করিশ্মা এবং আলিয়া
‘ভাইয়ের বিয়ে’ বলে কথা! তারকা পোশাকশিল্পীদের তৈরি শাড়ি, লেহঙ্গা, পাঞ্জাবিতে হাজির তুতো ভাই-বোনেরা। রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্টের সাতপাকের আসরকে যেন আরও রঙিন করে তুলেছেন তাঁরা। করিনা কপূর খান, করিশ্মা কপূর, আদর জৈনের মতো তারকারা বিয়েবাড়ির আনন্দে মাতোয়ারা।
সম্প্রতি করিশ্মার পোস্ট করা ছবিতে এক মজাদার ঘটনার কথা জানা গেল। বিয়ের পর আলিয়ার ‘কলিরা’ রীতি পালনে সময়ে ‘কলিরা’টি এসে পড়ে করিশ্মার হাতে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি রণধীর কপূরের বড় কন্যা। উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। সূত্রের খবর, আনন্দের চোটে আলিয়া-রণবীরের বিয়ে উপলক্ষে বানানো কেকের উপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন নায়িকা। পিছন থেকে আর এক মহিলা তাঁকে সামলে নেন। করিশ্মার পাশে দাঁড়িয়ে আলিয়ার বন্ধু অনুষ্কা রঞ্জন। কলিরা পাওয়ার চেষ্টা তিনিও করেছিলেন। কিন্তু সে সাধ মেটেনি। সে দুঃখ তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট।
পঞ্জাবি রীতিতে বিয়ের সময়ে কনে হাতে চুড়ির সঙ্গে ‘কলিরা’ পরেন। সে-ও এক ধরনের সোনার গয়না। প্রথা অনুযায়ী কনে হাত ঝেড়ে সেই কলিরা হাত থেকে ফেলে দেন। সেই গয়না যে মেয়ের হাতে গিয়ে পড়ে, মনে করা হয়, তাঁর বিয়েও আসন্ন।
তবে কি এ বার নতুন বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন করিশ্মা? পঞ্জাবি বিয়ের ধারণাই কি তবে সত্যি হবে? আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে পারার আনন্দেই কি লাফিয়ে উঠেছেন ‘লোলো’? অনুরাগীদের মনে এখন হরেক প্রশ্ন।
২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয় করিশ্মার। ২০১৬ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ। ১১ বছরের দাম্পত্য তিক্ততায় ভরে উঠেছিল। ২০১৪ সালেই করিশ্মা বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। তার দু’বছর পরে দুই সন্তান সামায়রা এবং কিয়ানকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান অভিনেত্রী।
১৪ এপ্রিল, গত বৃহস্পতিবার আলিয়া এবং রণবীরের বিয়ের পর থেকে প্রতি দিনই ভট্ট এবং কপূর পরিবারের আনন্দ-মুহূর্তের ছোট ছোট ঝলক প্রকাশ্যে আসছে। বিয়ে, মেহেন্দি, সঙ্গীতানুষ্ঠান। কী কী ঘটেছে মুম্বইয়ের বান্দ্রায়, জানছেন অনুরাগীরা। সেই তালিকায় জুড়ে গেল করিশ্মার এই নতুন খুশিও!