Rekha

স্বামী আত্মহত্যা করেন বহু বছর আগে, তবু রেখার সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছে কার সিঁদুর?

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি কিংবদন্তি। তবে তাঁর সাজের আর একটি দিক রয়েছে যা অনেকের কাছেই রহস্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৮
Share:

রেখা। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁর সৌন্দর্যের ছটায় যেন মাতোয়ারা আসমুদ্রহিমাচল। বেশির ভাগ সময়ই তাঁর পরনে থাকে সোনালি জরির কাঞ্জিভরম শাড়ি। কানে গলায় ভারি ভারি গয়না, লাল ঠোঁট। সঙ্গে চিলতে হাসি। তাঁর সৌন্দর্য বাড়ায় ঠোঁটের উপরের ছোট্ট তিল। তিনি ভানুরেখা গণেশন। ভক্তেরা যাঁকে রেখা বলেই চেনেন। দীর্ঘ ফিল্মি গ্রাফে নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি ‘লেজেন্ড’। তবে তাঁর সাজের আর একটি দিক রয়েছে যা অনেকের কাছেই রহস্য। রেখার সিথিতে সিঁদুর। দীর্ঘ দিন ধরেই অনুরাগীদের কৌতূহল, অভিনেত্রীর সিঁদুর পরার কারণ ঠিক কী?

Advertisement

সাধারণত হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহিত নারীই সিঁদুর পরে থাকেন। যদিও রেখা যখন প্রথম বার সিঁদুর পরেন তখন তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

দিনটা ১৯৮০-এর ২২ জানুয়ারি। আরকে স্টুডিওতে ধুমধাম করে ঋষি আর নিতু কপূরের বিয়ে হচ্ছে। এমন সময় রেখা পৌঁছন সেখানে। মাথায় সিঁদুর। গলায় মঙ্গলসূত্র। কিন্তু তাঁর তো বিয়ে হয়নি। তবে? সে সময় আবার বলি পাড়ায় অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন। ওই অনুষ্ঠানে আবার সস্ত্রীক অমিতাভও এসে হাজির। অতিথিদের মনে তখন হাজারও প্রশ্ন ভিড় করেছে। তার পর ১৯৯০ সালে শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। কিন্তু বহু বছর আগেই আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রীর স্বামী। যদিও সিঁদুর পরা বন্ধ করেননি অভিনেত্রী। যে কোনও অনুষ্ঠানে কপালে থাকে লাল সিঁদুর। এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে রেখা বলেন, ‘‘আমি যে শহরের মেয়ে, সেখানে সিঁদুর পরা একটা ফ্যাশন।’’ যদি তার পরও রেখাকে নিয়ে গুঞ্জন থামেনি। ২০০৮ সালে রেখা ফের জানান, সিঁদুর তাঁকে মানায় তাই পরেন। লোকে কী বলছে সে সবে পাত্তা দেন না।

Advertisement

শুধু অমিতাভ নন, বিনোদ মেহরা অথবা শত্রুঘ্ন সিন্‌হা, রাজ বব্বর, কমল হাসান এমনকি সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও তাঁকে নিয়ে রটেছিল নানা রকমের গসিপ। তবে সে সব কিছু মোটেও ধর্তব্যে আনেন না ‘উমরাও জান’-এর। চিরকালই নিজের স্টাইল, গ্ল্যামার এবং ড্রেসিং সেন্সে নজর কেড়ে এসেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement