কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দিন কয়েকের অপেক্ষা। নতুন রূপে সুসজ্জিত হুইটনি মিউজিয়ম ১ মে থেকে জনসাধারণের জন্য ফের খুলে দেওয়া হবে। গত বছর অক্টোবরে ম্যানহ্যাটনের এই মিউজিয়মটি সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ম্যানহ্যাটনের ওয়াশিংটন স্ট্রিটে ইতালীয় স্থপতি রেনজো পিয়ানোর ভাবনায় নির্মিত ন’ তলা মিউজিয়ামটি দেশ-বিদেশের দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ। ১৯৯৮ সালে স্থাপত্যশিল্পে নোবেলের সমান ‘প্রিত্জার আরকিটেকচার প্রাইজ’-এ পুরস্কৃত হয়েছেন রেনজো পিয়ানো।
উইকি বলছে, মার্কিন শিল্পকলার এক প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষক ছিলেন গাট্রুড ভ্যানডারবিল্ট হুইটনি নামে নিউ ইয়র্কের এক ধনী মহিলা। তাঁরই প্রচেষ্টায় ১৯৬৬ সালে ম্যানহাটনে নির্মিত হয় ‘দ্য হুইটনি মিউজিয়ম অফ আমেরিকান আর্ট’। চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য, ফটোগ্রাফ, ভিডিও মিলিয়ে এই মুহূর্তে ২২০০০-এর বেশি শিল্পকর্ম রয়েছে মিউজিয়মে যা প্রায় ৩০০০ শিল্পীর পরিশ্রমের ফসল। গত শতকের শিল্পীদের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের নামী-অনামী সকল স্রষ্টার কাজই প্রায় মজুত আছে ‘দ্য হুইটনি’-তে। সদ্য নির্মিত নতুন ভবনে রয়েছে উন্মুক্ত গ্যালারি। যেখানে বড় আকারের শিল্পকর্ম খুব সহজেই রাখা যাবে। ভবনের ভেতরের ঘরগুলোতে কোনও থাম বা পিলার না থাকায় দর্শকদেরও সুবিধা হবে বলে মনে করেন মিউজিয়ামের পরিচালক অ্যাডাম ওয়েনবার্গ। ‘আমেরিকা ইজ হার্ড টু সি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান দিয়ে নতুন ভবনের যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ওয়েনবার্গ। ১ মে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ৬০০-র বেশি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে বলে জানালেন উচ্ছ্বসিত প্রধান কিউরেটর ডনা দি স্যালভো।