নিজের ছবিতে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন বলিউডের নামজাদা কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খানকে। ছবি: সংগৃহীত।
দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সলমন খান। নিজের ছবিতে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন বলিউডের নামজাদা কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খানকে। শুধু তা-ই নয়, সরোজের অবর্তমানে তাঁর পরিবারের পাশেও থেকেছেন ‘ভাইজান’। সরোজের কন্যা তাঁকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানান পুত্রের হৃদয়ে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। অথচ, সলমনের সঙ্গে সরোজের সম্পর্ক আদৌ মধুর ছিল না। শুরুটা হয়েছিল বেসুরো ভাবেই।
বলিউডের প্রথম মহিলা কোরিয়োগ্রাফার সরোজ। ষাটের দশক থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৪০ বছরের কেরিয়ারে ৩০০০ গানে নৃত্য পরিচালনা করেছেন তিনি পর্দায়। মৃত্যুর আগে অবধি তিনিই ছিলেন সিনেমার নাচগানের জগতের সম্রাজ্ঞী। সেই সাফল্যের দিকে তাকিয়ে কি ঈর্ষান্বিত ছিলেন সলমন? একটি ছবিতে তাঁর আর সরোজের একসঙ্গে কাজ করার কথা হলে সলমন সোজা না করে দেন। সাফ জানান, সরোজ কাজ করলে তিনি সেই ছবিতে থাকবেন না। এক সাক্ষাৎকারে সরোজ দুঃখ করে জানিয়েছিলেন সেই ঘটনার কথা। সেই পুরনো সাক্ষাৎকার সম্প্রতি ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। তাই আবার চর্চায় সলমন ও সরোজের রসায়ন।
সরোজ জানান, সলমন তাঁকে বলেছিলেন, “যতক্ষণ না আমি এক নম্বর নায়ক হব, আপনার সঙ্গে কাজ করব না।” সরোজের সঙ্গে বস্তুত বহু দিন কাজ করেননি সলমন। এর কারণও আঁচ করেছিলেন সরোজ। তিনি জানান, আমির খান সে বার ‘আন্দাজ় আপনা আপনা’ ছবিতে নায়কোচিত নাচের জন্য পুরস্কার জিতেছিলেন। অন্য দিকে, সলমনের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি ঢোল! এতেই নাকি মনঃক্ষুণ্ণ হন সলমন। তবে সরোজের দাবি, পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী তাঁকে যা নির্দেশ দিয়েছেন তা-ই করেছেন। যদিও সলমন মুখের উপর ‘না’ বলে দেওয়ায় আহত হয়েছিলেন সরোজ। তিনিও পাল্টা বলেন, “আল্লা রুটির জোগান দেন, তুই আমায় খাওয়াস না। কাজ না করলে না করবি।”
২০১৯ সাল থেকে আর কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না সরোজ। সে কথা প্রকাশ্যেই বলেন তিনি। শুনে সলমন নিজে এসে ছবির প্রস্তাব দেন সরোজকে। আর কোনও তিক্ততা ছিল না তাঁর মনে। যদিও ২০২০ সালেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন নৃত্যশিল্পী।