নব্যার বায়না সামল দিতে কী করতেন জয়া?
তিন প্রজন্মের তিন নারী— দিদিমা, মা এবং কন্যা। দিদিমা জয়া বচ্চন। মেয়ে শ্বেতা বচ্চন আর নাতনি নব্যা নবেলি দু’জনকেই বড় হতে দেখলেন তিনি। কত স্মৃতি, কত গল্পে ঝুলি উপচে পড়ে! কত ছোট্ট ছোট্ট মণিমুক্তো গাঁথা হয়ে আছে জয়া-শ্বেতা-নব্যার মালায়, যার কিছুটা মানুষকে শোনাতে চাইলেন ২৫ বছরের নব্যা।
‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’ পডকাস্টে মা আর দিদিমাকে নিয়ে বসলেন কন্যা। ছোটবেলা মা আর দিদিমার উপর কী ভাবে উপদ্রব করেছেন তিনি সে কথা পালা করে জানতে চাইলেন। শুরু করলেন শ্বেতা। জানালেন, নব্যার বায়না লেগেই থাকত। তখনই সেটা না দিলে কান্না! শ্বেতার কথায়, “সারা ক্ষণ দস্যিপনা করে বেড়াতে তুমি। হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে। আমাদের সব সহ্য করতে হয়েছে। তবে তোমায় আস্কারা দিয়েছে আমার মা।” কী করতেন জয়া? শ্বেতা জানান, নাতনি কিছু বায়না ধরলেই সামলে দিতেন জয়া। তখন না বলতেন, কিন্তু পরে ঠিক নাতনির কথা রাখতেন।
এর পরই হাসতে হাসতে একটা গল্প শুরু করেন শ্বেতা। বললেন, “মনে পড়ে সেই সিমি গ্রেবালের শো-এর দিন? ‘রদেভু উইথ সিমি গ্রেবাল’-এ যাওয়ার জন্য আমরা তৈরি। হঠাৎ গাড়িতে এসে নব্যা বসে পড়ল দাদু অমিতাভ বচ্চনের কোলে। সে-ও যাবে! আমরা তো পড়েছি ফ্যাসাদে...।”
মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বাকিটা বললেন জয়া। তাঁর কথায়, “আরে নব্যা সে দিন আবার লিপস্টিক পরে এসেছিল। সেটা দেখে আমি বললাম, তুমি লিপস্টিক পরে একদমই যাবে না। মুছেও দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু তার পরই সাড়ে সর্বনাশ!”
নাতনিকে বলে চলেন জয়া, “তুমি শুরু করলে, ‘আমায় খুব বাজে দেখতে!’ এমন করলে যে গাড়ি থামাতে বাধ্য হলাম আমরা।” শুনে অপ্রস্তুত নব্যাও। জয়া আরও বললেন, “তুমি সব সময় আমাদের মধ্যমণি হয়ে থাকতে চাইতে। চাইতে, আমাদের মনোযোগ যেন সব সময় তোমার দিকেই থাকে।” এমনকি, কাজের সময় অমিতাভের সঙ্গেও কত বার অফিস এবং ছবির সেটে চলে যেতেন নাতনি! নব্যা শুনে অবাক হন আর হাসেন।
শ্বেতা এবং নিখিল নন্দের কন্যা নভ্যার এই মুহূর্তে বলিউডে পা রাখার কোনও ইচ্ছে নেই। নেটমাধ্যমে ‘আরা হেলথ’ নামক এক নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা মঞ্চের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কাজ করছেন তিনি। পরবর্তী কালে বাবার ব্যবসার দেখভাল করতে চান। তবে শীঘ্রই ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন শ্বেতা-নিখিলের পুত্র অগস্ত্য নন্দ। ‘দ্য আর্চিজ’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন তিনি।