উইল এবং জাডার কথায় জানা যায়, জাডা বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মা তাঁদের দু’জনকে বিয়ে করেন বাধ্য করান। তাঁরা তাঁদের প্রথম সন্তান জ্যাডেন স্মিথের জন্ম দেন বিয়ের পর। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অ্যাড্রিয়েন বলেন, ‘‘এ বার তো বিয়ে করতে হবে। সেই নিয়ে আলোচনা করা যাক।’’ জাডা-উইল সেই কথা বলার পরে অ্যাড্রিয়েন মাথা নাড়িয়ে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উইল এবং জাডা
‘দ্য রেড টেবিল টক শো’ দাম্পত্য কলহ বা পারিবারিক সমস্যা মেটানোর জন্য এই গোল টেবিল বৈঠকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। তাতে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেতা উইল স্মিথ, তাঁর স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট স্মিথ, জাডার মা অ্যাড্রিয়েন ব্যানফিল্ড-নরিস এবং দম্পতির মেয়ে উইলো স্মিথ। পরিবারের চার জন গোল টেবিলে বসে একে একে মনের কথা বলেছিলেন। অস্কারের চপেটাঘাতের ঘটনার পর সেই সাক্ষাৎকারের পুরনো এক টুকরো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
সেখানেই জাডা জানান, তিনি উইলকে বিয়ে করতে চাননি প্রথমে। কিন্তু জোরাজুরিতে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।
১৯৯৭-এ নতুন বছর পড়তেই বিয়ে হয় জাডা-উইলের। জাডার মনে পড়ে, বিয়ের মঞ্চে ওঠার আগে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জাডার কথায়, ‘‘আমার তখন ২৬ বছর বয়স। অভিনেত্রী হিসেবেও নবীন। কিন্তু মাথার উপরে প্রবল চাপ। কী করা উচিত, না উচিত, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।’’
উইল এবং জাডার কথায় জানা যায়, জাডা বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মা তাঁদের দু’জনকে বিয়ে করেন বাধ্য করান। তাঁরা তাঁদের প্রথম সন্তান জ্যাডেন স্মিথের জন্ম দেন বিয়ের পর। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন অ্যাড্রিয়েন বলেন, ‘‘এ বার তো বিয়ে করতে হবে। সেই নিয়ে আলোচনা করা যাক।’’ জাডা-উইল সেই কথা বলার পরে অ্যাড্রিয়েন মাথা নাড়িয়ে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘না, আমি জোর করেছিলাম বলে মনে পড়ে না। আমি ভেবেছিলাম, বিয়ে নিয়ে তোমার আপত্তি নেই। আপত্তি আছে ঘটা করে অনুষ্ঠান করায়।’’
অ্যাড্রিয়েনই জানান, বিয়ে যে ভাবে হয়েছিল, তা খুব সুখকর নয়। অন্তঃসত্ত্বা জাডা অসুস্থ ছিলেন। তার মধ্যে সেজেগুজে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মঞ্চে উঠে শপথ গ্রহণ করার আগে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। সে কথা মনে করে হেসে ওঠেন সকলে মিলে।
ভিডিয়োর এই অংশটুকু ছড়িয়ে গিয়েছে চারদিকে।
দিন কয়েক আগে স্মিথ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, জাডা তাঁর স্বামীর প্রতিক্রিয়ায় খুশি নন। তাঁর মতে, তাঁর অ্যালোপেশিয়া রোগ নিয়ে রসিকতা করার পর উইল অস্কারমঞ্চে উঠে ক্রিস রককে চড় না মারলেও পারতেন। অন্য ভাবে প্রতিবাদ জানাতে পারতেন। উপরন্তু জাডা তাঁর লড়াই নিজেই লড়তে চান। তাঁর স্বামীকে রক্ষাকবচ হিসেবে প্রয়োজন নেই জাডার। যদিও তিনি স্বামীর বিরোধিতা করতে চান না। তিনি এই কঠিন উইলের পাশে দাঁড়াবেন বলে স্থির করেছেন।