শাহরুখ খানকে অস্কার দেওয়ার দাবি তুললেন ব্রাজিলের ডাকসাইটে সাহিত্যিক পাওলো কোয়েলহো। পাশাপাশি, এও জানালেন, হলিউড যদি বাধা হয়ে না দাঁড়াত, তবে এত দিনে নিশ্চয়ই অস্কারটা পেয়ে যেতেন শাহরুখ!
খামোখা যদিও সাহিত্যিক এমন দাবি তোলেননি। সম্প্রতি তিনি শাহরুখ-কাজলের ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিটা দেখেছেন। ছবিটা তাঁর ভাল লেগেছে। তার পরেই আপ্লুত হয়ে এ হেন মন্তব্য করেছেন তিনি।
শাহরুখও অবশ্য পিছিয়ে থাকেননি ধন্যবাদ জানানোয়। পাওলো কোয়েলহোকে নিজের অনেকগুলো ছবির ডিভিডি পাঠিয়েছেন তিনি। ডিভিডিগুলোকে এক জায়গায় সাজিয়ে টুইটারে তার ছবিও পোস্ট করেছেন সাহিত্যিক। সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে, ‘অশোকা’ থেকে শুরু করে ‘স্বদেশ’, ‘চক দে ইন্ডিয়া’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘ডন’, ‘রা ওয়ান’— বেশ অনেকগুলো ছবিই পাঠিয়েছেন শাহরুখ।
সাহিত্যিকের প্রতিক্রিয়া?
আপাতত, একটু দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন তিনি। টুইট করে জানিয়েছেনও সেই কথা। শাহরুখকে লিখছেন, “কোন ছবিটা দিয়ে শুরু করা যায়?”
পাওলো কোয়েলহোর সেই টুইট
এখানেই শেষ নয়। দু’জনের মধ্যে সৌজন্য এবং উপহার বিনিময়ের পালা চলছেই। শাহরুখ যেমন বলছেন, নিজের ছবির আরও ডিভিডি পাঠাবেন, কোয়েলহোর তেমনই দাবি, বিখ্যাত বইগুলোর বিশেষ সংস্করণ পাঠাবেন তিনি!
দু’জনের মধ্যে এই যে সৌহার্দ্য শুরু হল, তার প্রতিফলন কি এ বার পড়তে চলেছে সেলুলয়েডে? কোয়েলহোর লেখা নিয়ে তৈরি ছবিতে কি অভিনয় করবেন শাহরুখ?
সেটা জল্পনা হলেও সেই ২০০৭ সালে সেলুলয়েডই কিন্তু কাছাকাছি এনে দিয়েছিল দুই তারাকে। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির একটি দৃশ্যে পাওলো কোয়েলহোর ‘অ্যালকেমিস্ট’ বইয়ের একটি সংলাপ শাহরুখের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিয়েছিলেন পরিচালক ফারহা খান। শাহরুখ বলেছিলেন, “কহতে হ্যায়, অগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো, তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানে কি কোশিশ মে লাগ যাতি হ্যায়!” আর কোয়েলহো লিখেছিলেন, “When a person really desires something, all the universe conspires to help that person to realize his dream.”
আশা করাই যায়, ‘ওম শান্তি ওম’ দেখে, ব্যাপারটা জানার পর বেশ মজাই পাবেন সাহিত্যিক!