বলিউডে তারকাদের মধ্যে ঝগড়া, গন্ডগোল কোনও নতুন বিষয় নয়। কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে তারকাদের মধ্যে এ সব চলতেই থাকে।
কিন্তু এক বার দুই পরিচালকের মধ্যে বিশাল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল। তৃতীয় এক ব্যক্তিকে নিয়ে সেই কথা কাটাকাটি ব্যক্তিগত আক্রমণে পৌঁছে গিয়েছিল।
এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, ঘটনার সময় উপস্থিত সকলেই রীতিমতো থমকে গিয়েছিলেন। আর এই পুরো ঘটনাটিই ঘটেছিল পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে।
ফলে বলতে গেলে বলিউডের সমস্ত তারকাই ওই দিন চাক্ষুষ করেছিলেন দুই পরিচালকের মধ্যে সেই ঘটনা।
ওই দুই পরিচালক হলেন আশুতোষ গোয়ারিকর এবং সাজিদ খান। ২০০৯ সালের ঘটনা। ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সাজিদ।
নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মজার ছলে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বোন ফারহাও।
সে সময় সিনেমা জগতে সদ্য পা রেখেছিলেন হরমন বাওয়েজা। হৃতিক রোশনের মতো দেখতে তাঁকে। তাই অনেকেই 'হৃতিকের ডুপ্লিকেট' বলেও ডাকেন তাঁকে।
সঞ্চালনার সময় হরমনকে নিয়ে মজা করছিলেন সাজিদ। আসলে হরমনের অভিনয় নিয়ে তিনি মজা করে নানান কথা বলছিলেন।
এর পর পরই ‘যোধা আকবর’ ছবির জন্য পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন পরিচালক আশুতোষ। সাজিদই তাঁর নাম ঘোষণা করেছিলেন।
ট্রফি হাতে নেওয়ার পর তাঁকে কিছু বলতে বলা হয়েছিল। তখনই ঘটে বিপত্তি। আশুতোষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তৃতার মধ্যেই সাজিদকে কথা শোনাকে শুরু করেন।
এই মঞ্চ অবশ্যই দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার মঞ্চ, কিন্তু তা বলে কাউকে ছোট করে দেখানো উচিত নয় এবং কাউকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা উচিত নয় বলে পরামর্শ দেন সাজিদকে।
তাঁর কথার মাঝে সাজিদ কথা বলতে গেলে তখন আরও অপমান করতে শুরু করেন তিনি। কাউকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া যে সহজ এবং আশুতোষ চাইলে তিনিও সেটা অনায়াসে করতে পারেন, জানান তিনি।
এরপর সাজিদও তাঁকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন কাউকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে লোক হাসানোর। তাতে আরও রেগে গিয়ে আশুতোষ সাফ জানিয়ে দেন, সাজিদের মতো তাঁর স্বভাব নয়।
এ সব বলে মঞ্চ থেকে নেমে যান আশুতোষ। নীচে দর্শকাসনে তারকারা তখন রীতিমতো হতভম্ব। তার পরই সাজিদের সমর্থনে কথা বলতে শুরু করেন তাঁর বোন ফারহা। মঞ্চ থেকে তিনিও আশুতোষকে এক হাত নেন।
ওই দিন শুধু হরমনকে নিয়েই নয়, আরও অনেক তারকাকে নিয়ে মজা করছিলেন সাজিদ। কিন্তু তাতে অসন্তুষ্ট হননি আশুতোষ। হরমনের পালা আসতেই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কারণ সে সময় হরমনের সঙ্গে একটি ছবি বানাচ্ছিলেন আশুতোষ। যার নাম ছিল ‘হোয়াট’স ইওর রাশি’। তাঁর মনে হয়, ছবি মুক্তির আগেই যদি দর্শকদের মনে অভিনেতাকে নিয়ে এমন খারাপ ধারণা তৈরি হয়ে যায় তা হলে তা ছবির উপর কুপ্রভাব ফেলতে পারে।