বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ফাইল ছবি।
‘তোমার সেই যোগ্যতাই নেই যে, তোমার ছবির হোর্ডিং শহরে লাগে!’ একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর এমন কথাই প্রযোজকদের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিল ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারকে। কিন্তু প্রকৃত ‘খিলাড়ি’র মতোই ফিরে এসেছিলেন তিনি, মন জয় করে নিয়েছিলেন কোটি কোটি সিনেপ্রেমীর। বাকিটা ইতিহাস।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের খারাপ দিনের কথা মনে করেছেন প্রযোজক সুনীল দর্শন। কারণ, নব্বইয়ের দশকে বলিউডের পথে হোঁটচ খেতে খেতে এক বার এই অক্ষয়ই এসেছিলেন সুনীলের কাছে। জানিয়েছিলেন, ফ্লপের উপুর্যপরি ধাক্কায় বেসামাল তাঁকে আর ভরসা করতে রাজি হচ্ছেন না প্রযোজকরা। একটি নির্দিষ্ট ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে সুনীল বলেন, ‘জানোয়ার’ ছবির মুক্তির মাত্র দু’মাস আগে অক্ষয় আমার কাছে আসে। বলে, ‘সুনীলজি, আমি খুবই সমস্যায় আছি। গত শুক্রবার আমার যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে তার প্রযোজক ছবির একটি পোস্টারও করেননি। একটা হোর্ডিংও নেই’।’’
সুনীল তখন অক্ষয়কে জিজ্ঞেস করেন, প্রযোজকরা তাঁকে কী বলেছেন? অক্ষয় জবাব দেন, ‘‘তোমার ছবির হোর্ডিং আর পোস্টার লাগবে, এমন যোগ্যতা তোমার নেই। (তুমহারি অওকাত নেহি হ্যায় কে তুমহারি ফিল্ম কে হোর্ডিং অউর পোস্টার লগ সকে)।’’
সেই সাক্ষাৎকারে সুনীল জানিয়েছেন, তার পরই অক্ষয় সম্পর্কে তাঁর মনোভাব বদলে যায়। ঠিক করেন, তাঁর আসন্ন ছবি জানোয়ারে শুধু অক্ষয়কে কেন্দ্র করেই তৈরি হবে সমস্ত হোর্ডিং, পোস্টার। সুনীলের মতে, এত দিন মানুষ যাঁকে দায় হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন, তাঁরাই দেখলেন সেই অক্ষয়ই আমার অন্যতম বড় সম্পদ।
তার পর গঙ্গা-পদ্মা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। সুনীলের জানোয়ার সুপার হিট হয়। আত্মপ্রকাশ করেন এক নতুন অক্ষয় কুমার। ‘খিলাড়ি’র এমন কামব্যাকের পর আর কোনও প্রযোজকের ক্ষমতা হয়নি, তাঁর নাম ও মুখ ছবির পোস্টার-হোর্ডিংয়ে ব্যবহার না করার। সে দিনের ‘ফ্লপ’ অভিনেতা অক্ষয়, আজ হিন্দি ফিল্ম জগতের সফল নায়কদের তালিকার একেবারে প্রথম দিকে।