‘প্রিয়া’তে কেন নেই বাংলা ছবি? জবাব দিলেন অরিজিৎ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় সিনেমা হল ‘প্রিয়া’। এ দিকে বুধবার থেকে সেখানেই কোনও বাংলা ছবি চলবে না। কারণ ‘পাঠান’ সব শো নিয়ে নিয়েছে। ‘প্রজাপতি’-র নির্মাতাদের তরফে অভিযোগ ছিল, প্রিয়ার মতো সিনেমা হল এই নীতি নিলে বাংলা ছবির ক্ষতি হবে। সোমবার প্রিয়ার বিরুদ্ধে আনন্দবাজার অনলাইনে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন ‘প্রজাপতি’র প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী এবং পরিবেশক শতদীপ সাহা।
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে প্রিয়ার কর্ণধার অরিজিৎ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অরিজিতের সাফ উত্তর, ‘‘বাংলা ছবি অনেক সময় পেয়েছে। শেষ কয়েক মাস আমি তো বাংলা ছবিই চালিয়েছি। বাংলা ছবি তো জানত যে এখন ‘পাঠান’ আসছে। কিন্তু এখনই তারা ছবি রিলিজ করবে, এটা তো অযৌক্তিক।’’ সেই সঙ্গে অরিজিৎ বললেন, ‘‘আমি তো প্রত্যেককে তাদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই বলে দিয়েছিলাম।’’
বাংলা ছবির জন্য শুধু আবেগের বশবর্তী হয়ে পদক্ষেপ করলে কারও লাভ হবে না বলেই বিশ্বাস করেন প্রিয়ার কর্ণধার। তাঁর কথায়, ‘‘দিনের শেষে এটা একটা ব্যবসা। অতিমারির পর থেকে সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোর আর্থিক অবস্থা নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই সেখানে আমাকে বড় ছবির পক্ষে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। টিকে থাকতে ‘প্রজাপতি’-র একটা শো দেখব না কি ‘পাঠান’-এর পাঁচটা শো নিয়ে ভাবব?’’
অভিযোগ প্রসঙ্গে অরিজিতের কাছেও পাওয়া গেল পাল্টা যুক্তি। বললেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের পর প্রিয়া আট মাস বন্ধ ছিল। তখন গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া বাংলা ইন্ডাস্ট্রি তো আমার কথা ভাবেননি! আট মাস বাংলা ছবি প্রিয়া ছাড়া থাকতে পারলে, আমার বিশ্বাস আগামী দু’সপ্তাহও নিশ্চয়ই পারবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি থেকেই প্রিয়া থেকে ‘প্রজাপতি’ তুলে নিয়েছেন নির্মাতারা। এই প্রসঙ্গে, অরিজিত বললেন, ‘‘এতই চিন্তা থাকলে তা হলে এই পাঁচ দিন কেন চলতে দেওয়া হল না। বিক্রি তো ভালই ছিল।’’ এই প্রসঙ্গে শতদীপের পাল্টা যুক্তি, ‘‘ছবি যখন চালাতেই উনি চাইছেন না, তা হলে এই ক’দিনে ওঁকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে আমাদের তো কোনও লাভ নেই।’’