এক দিনে একটি ছবি মুক্তি পেলে দর্শক ভাগ হয়ে যায় না। ২৭ মে চারটি ছবির মুক্তিতে ভাগাভাগি হয়ে কমে যাবে দর্শকসংখ্যা। এক দিনে একটি ছবি মুক্তি পেলে বাণিজ্যও ভাল হয়। এ ক্ষেত্রে অভিনেতার যুক্তি, তিনি প্রযোজক নন, অভিনেতা। তিনি মন দিয়ে তাঁর কাজ করেছেন। দিনের শেষে তাঁর এক মাত্র চিন্তা, আগের তুলনায় কতটা এগোতে পেরেছেন।
ওম সাহানি
এপ্রিলেই ক্যালেন্ডারে ২৭ মে তারিখে লাল দাগ দিচ্ছে বাঙালি। কারণ? বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় মহা ধামাকা এ দিনই। একসঙ্গে মুক্তি পাবে চার চারটি ছবি। শৌভিক কুণ্ডুর ‘আয় খুকু আয়’, অরিন্দম শীলের ‘শবর’, শিলাদিত্য মৌলিকের ‘চিনে বাদাম’, অয়ন দে-র ‘ভয় পেও না’। অর্থাৎ, প্রেক্ষাগৃহে রাজত্ব চালাবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত এবং ওম সাহানি।
ছবিতে ওমের বিপরীতে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। নতুন পরিচালক যতই বলুন ‘ভয় পেও না’, মুক্তির আগে কি বুক ধুকপুক করছে না ওমের? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অভিনেতার দাবি, ‘‘ছবি-মুক্তির আগে যেমন চাপ তৈরি হয় সেটাই হচ্ছে। এর বেশি কিছু নয়।’’ ওমের মতে, তিনি নিজের একশো শতাংশ দিয়ে অভিনয় করেছেন। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না, এই বিশ্বাস আছে তাঁর।কিন্তু অন্যান্য ছবিতে যে তাবড় তারকা? বিশেষত ‘বুম্বাদা’ এখনও একাই সব আলো টেনে নিতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা যুক্তি অভিনেতার, ‘‘সকলকে সম্মান জানিয়েই বলছি, প্রত্যেকের ছবির বিষয় ভিন্ন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবির বিষয় বাবা-মেয়ের গল্প। শবর জনপ্রিয় গোয়েন্দা। যশের ছবি এই প্রজন্মের। আমাদের ছবি বহু দিন পরে প্রেক্ষাগৃহে ভৌতিক আমেজ তৈরি করবে। এর আকর্ষণ এড়ানো যায় না।’’
একইসঙ্গে ওম জোর দিয়েছেন শ্রাবন্তীর সঙ্গে তাঁর নতুন জুটির উপরেও। অভিনেতার মতে, টাটকা জুটি অক্সিজেনের মতোই। যা দর্শকদের শ্বাস নিতে সাহায্য করে।
এক দিনে চারটি ছবি-মুক্তির চর্চা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওম। বলেছেন, ‘‘এত দিন শিরোনাম ছিল, টলিউড মৃতপ্রায়। যে কোনও দিন বন্ধ হয়ে যাবে বাংলা বিনোদনের দরজা। যেই ঘুরে দাঁড়াল ইন্ডাস্ট্রি, সবার প্রশ্ন এক দিনে কেন চারটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে? যেন সবেতেই সমস্যা। পাশাপাশি আমরা সবার সঙ্গে সবার টক্কর বাধাতেই ব্যস্ত। এটা ভাবি না, একগুচ্ছ বাংলা ছবির মুক্তি মানে বাংলা বিনোদনে নতুন জোয়ার।’’
আবার এটাও ঠিক, এক দিনে একটি ছবি মুক্তি পেলে দর্শক ভাগ হয়ে যায় না। ২৭ মে চারটি ছবির মুক্তিতে ভাগাভাগি হয়ে কমে যাবে দর্শকসংখ্যা। এক দিনে একটি ছবি মুক্তি পেলে বাণিজ্যও ভাল হয়। এ ক্ষেত্রে অভিনেতার যুক্তি, তিনি প্রযোজক নন, অভিনেতা। তিনি মন দিয়ে তাঁর কাজ করেছেন। দিনের শেষে তাঁর এক মাত্র চিন্তা, আগের তুলনায় কতটা এগোতে পেরেছেন।