নুসরত জাহান-মিমি চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
তাঁরা পরস্পরকে ‘বোনুয়া’ বলেই সম্বোধন করেন। ইন্ডাস্ট্রিতে দুই নায়িকা যে প্রিয় বন্ধুও হতে পারেন, সে কথা বার বার প্রমাণ করেছেন নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী। তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের ফিসফাস যে, অভিনেতা যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নুসরত সম্পর্কে জড়ানোর পর দুরত্ব তৈরি হয় মিমির সঙ্গে। যদিও সেই আঁচ কিছুটা পাওয়া গেলেও তাঁদের সম্পর্কের ওঠা-পড়া সব সময়েই আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন দু’জনেই। তাই যখনই প্রকাশ্যে নুসরতকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, প্রতি বারই ‘বোনুয়া’র পাশে দাঁড়িয়েছেন মিমি। মঙ্গলবার সারা দিন আবারও শিরোনামে বসিরহাটের সাংসদ। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। রাজারহাটে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে ডেকে পাঠানো হয়েছে নুসরতকে। এক দিকে নুসরতকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন কী করছিলেন, কোথায় ছিলেন তাঁর ‘বোনুয়া’ মিমি?
মিমির সমাজমাধ্যমের পাতা ঘাঁটলে দেখা যাবে, নায়িকা ব্যস্ত তাঁর জগৎ নিয়ে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা গেল শুটিংয়ের ফাঁকে রীতিমতো মজা করছেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে চন্দ্রাশিস রায়ের ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করছেন মিমি। এই প্রথম ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে নায়িকাকে। এই সিরিজ়ে মিমির বিপরীতে অভিনয় করছেন টোটা রায়চৌধুরী। মিমিকে দেখা গেল প্রিয় সারমেয়দের সঙ্গে খুনসুটি করতে।
শুটিংয়ের মাঝে নুসরতের সঙ্গে কি কথা বলেছেন মিমি? সকলের প্রশ্ন এটাই। মঙ্গলবারের এই বিতর্কের পর দুই নায়িকার মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কি না, সেটা যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যখন নুসরতকে ইডির তলবের কথা প্রকাশ্যে আসে তখন নায়িকা ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জে।
বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ইডির নোটিস নিয়ে প্রশ্ন করতেই সাংসদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি সকাল থেকে প্রচুর কাজে ব্যস্ত। নোটিস এসেছে কি না অবশ্যই দেখব। ইডি ডাকলে অবশ্যই যাব। তদন্তে সহযোগিতা করা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।’’