‘রূপসাগরে মনের মানুষ’ সিরিয়ালের দৃশ্যে দেবায়ন। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম বার শুনলেন, ‘রোল, ক্যামেরা, অ্যাকশন’। প্রথম ফ্লোর। প্রথম সিরিয়াল। আর প্রথমেই হোঁচট। অভিনেতা দেবায়ন ভট্টাচার্যকে নিয়ে শেষ কয়েক মাসে বিপুল চর্চা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁকে রূপের চরিত্রে দেখছে দর্শক। সিরিয়ালের নাম ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’। নায়কের বাহ্যিক রূপকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল নানা সমালোচনা। নায়কের চেহারা ভারিক্কি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন এমন এক চেহারা সত্ত্বেও তাঁকে নায়ক হিসাবে বাছা হল? তবে সিরিয়ালের নায়িকা রুকমা রায় সব সময়ই পাশে ছিলেন নায়কের। বার বারই বলেছেন, কারও বাহ্যিক রূপের নিরিখে তাঁর সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করা কখনও উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে দেবায়নও আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, সত্যিই তাঁরও খারাপ লেগেছিল যখন তাঁর চেহারা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল।
জানেন কি, অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার আগে দেবায়ন কী কাজ করতেন? হাওড়ার মন্দিরতলায় জন্ম তাঁর। সেখানেই বড় হওয়া দেবায়নের। তাঁর বাড়ির প্রত্যেকেই সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা ছিল তাঁর। বেশ কিছু দিন থিয়েটারে অভিনয়ও করেছেন দেবায়ন। তবে পাকাপাকি অভিনয়ে মন দেওয়ার আগে কয়েক বছর চাকরিও করেছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে নায়ক বলেন, “আমি বেশ কিছু বছর একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেছি। তার পর মাঝে একটি মিউজিক ভিডিয়োয় কাজও করি। তার পর মনে হল, পাকাপাকি অভিনয়টাকেই পেশা হিসাবে নিতে চাই। সিরিয়ালে প্রযোজনা সংস্থার তরফে কেউ আমার এই ভিডিয়োটি দেখেন। তার পরই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রথম সুযোগ পেয়েছি। এত সিনিয়র অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি। শিখতে পারছি কত কিছু।”
জীবনের স্বপ্ন পূরণ করতেই এমন অনিশ্চিত পেশাকে বেছে নিয়েছেন অভিনেতা। আগামী দিনে নিজের বাহ্যিক কোনও পরিবর্তন চান না দেবায়ন। তিনি যেমন, তেমনই দেখেই পরিচালকেরা কোনও চরিত্র লিখলে তিনি খুশি হবেন। আপাতত মন দিয়ে অভিনয় শিখতে চান দেবায়ন।