ছেলে সহজের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা। নিজস্ব চিত্র।
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন থেকে বেশ খানিকটা দূরেই আপাতত দিন কাটছে প্রিয়ঙ্কা সরকারের। কখনও পোষ্যকে নিয়ে খেলা করছেন, আবার কখনও বা ছেলে সহজের সঙ্গে মেতে উঠছেন রং-তুলি-পেন্সিলে।
এতটা অবসর সচরাচর মেলে না তাঁর। ব্যস্ত শিডিউলে সহজকে সে ভাবে সময় দেওয়া হয়নি কত দিন। ফাঁক মিলেছে অবশেষে। আর ছেলেও কিছুতেই কাছ ছাড়া করতে চাইছে না মা’কে।
অবশ্য মায়ের আগে ছেলেরই সকাল শুরু হয়। আনন্দবাজার ডিজিটালকে অভিনেত্রী বলছিলেন, “সহজ আমার থেকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠছে এখন। ইদানিং রাতে খুব কম ঘুম হচ্ছে আমার। সেটা সম্ভবত দুশ্চিন্তা থেকে। চারপাশে যা হচ্ছে। আমি চাইছি সহজের রুটিনটাকে স্বাভাবিক রাখতে। সেখানে হঠাৎ করে কোনও পরিবর্তন এলে ওরও খাপ খাওয়াতে অসুবিধে হবে।”
বইয়ের পাতায়
স্কুল বন্ধ, বন্ধুরা যে যার বাড়িতে, চারপাশে এক অস্থির অবস্থা। শিশুমনে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই চেষ্টাই আপাতত চালাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। “আমরা খবর দেখছি রোজ, বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে নানা খবর পাচ্ছি। কিন্তু সহজের কথা ভাবুন। স্কুল নেই। সারাক্ষণ বাড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তো ও নেই। হঠাৎ করে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ। কী হচ্ছে, ঠিক করে বুঝতেও পারছে না”, প্রিয়ঙ্কার গলায় উদ্বেগ।
ছেলের সঙ্গে কম্পিটিশন করে ছবি আঁকছেন তিনি, কখনও আবার নিয়ে পড়াতেও বসাচ্ছেন। স্কুল খুললেই আবার পুরনো রুটিন। এই ক’দিনে সহজের অভ্যেস খারাপ করতে কিছুতেই রাজি নন তিনি।
পোষ্যর সঙ্গে
খেতে তিনি ভালবাসেন। রান্না করতেও। তবে এ সময়ে বাহারি রান্না করে ‘অপচয়’ করতে চান না প্রিয়ঙ্কা। এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে বারেবারেই বলছেন, “অপচয় নয়। আমাদের সবাইকেই বুঝে শুনে খরচ করতে হবে। খাবারের রেশনিং করা খুব ইম্পরট্যান্ট।”
চিন্তা হচ্ছে তাঁর। তবে এরই মাঝে কখনও বইয়ের পাতায় মুখ ডোবাচ্ছেন আবার কখনও বা দুই পোষ্যকে নিয়ে চলছে অবসর যাপন।
বাবা-মা-বোন রয়েছেন বেহালার বাড়িতে। ওঁদের জন্যও চিন্তা হচ্ছে তাঁর। সব কিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাক- আশায় দিন গুনছেন অভিনেত্রী।
নিজস্ব চিত্র