ফাইল চিত্র।
কলকাতা‘রাজশ্রী’ না ‘এস এন আর’? কোন নামে ডাকবেন রাজ চক্রবর্তী- শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে?
অনুরাগীরাই ঠিক করুন। রাজ কিন্তু নিজের নামের আগে সব সময় বৌয়ের নাম দেখতে চান। এ বার ৩ জুন মুক্তির পথে তিন বছর ধরে প্রতীক্ষায় থাকা ছবি ‘হাবজি গাবজি’। রাজের পরিচালনায় দর্শকের হাড়ে কাঁপুনি ধরাতে আসছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী আর সম্যন্তকদ্যুতি মৈত্র। পরিচালকের ছবি ভয়াবহ সমস্যাকে তুলে ধরতে চলেছে। সেই ছবির প্রচারে দম্পতি প্রচণ্ড প্রেমময়! আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় রাজের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘ঈশ্বর আমাদের জুটি বানিয়েছেন, শুভকে ছাড়া কিচ্ছু ভাবতেই পারি না।’’
সমস্যা ছাড়া জীবন আলুনি। রাজ-শুভশ্রীও সেটা জানেন। পাশাপাশি তাঁরা আরও একটি জিনিস জানেন, খারাপের মধ্যে থেকেও ভাল খুঁজে নিতে। তাই যখন জীবনের প্রতিটি দিন উল্টে -পাল্টে যাচ্ছে বিচ্ছেদের যন্ত্রণায়, আকস্মিক মৃত্যুতে তখনই জুটির প্রাণবন্ত উপস্থিতি যেন দর্শকদের চোখ-মন জুড়িয়ে দিল। এই রসায়নের রহস্য কী? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। প্রশ্ন শুনেই জৌলুস যেন বেড়ে দ্বিগুণ চক্রবর্তী দম্পতির মুখে-চোখে। রাজের জবাব, ‘‘আমাদের বোঝাপড়া, আমাদের বন্ধুতা আর পাঁচ জনের থেকে অন্য রকম। উপরওয়ালা খুব যত্ন নিয়ে আমাদের জুড়ি বানিয়েছেন। আমার সব কাজ, সব পরিশ্রম, সব ভাল কিছুর এনার্জি শুভর মধ্যেই লুকিয়ে।’’
একা রাজ নন, চক্রবর্তী পরিবারের সমস্ত সদস্যের কাছেই শুভশ্রী ভীষণ প্রিয়। তার আরও একটি কারণ, রাজ-শুভশ্রী একেবারেই নেতিবাচক নন। দেখা, বলা, শোনা--- সবেতেই তাঁরা ইতিবাচক মানসিকতা খোঁজেন। তাঁদের বন্ধুরাও তাঁদের মতোই। হাসতে হাসতেই তাই ভাল-মন্দ সব কিছু মোকাবিলা করেন তাঁরা। বরং, যেখানে নেতিবাচকতা সেখানে নেই তাঁরা।
মন ভাল রাখতে কী কী করেন ‘রাজশ্রী’? শুভশ্রীর কথায়, গান শোনেন, ছবি দেখেন, বই পড়েন, নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, সপরিবারে বেড়াতেও যান। জমিয়ে আড্ডা দেন পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে। তার সঙ্গে ভূরিভোজ তো আছেই। জিভে জল আনা বাঙালি খাবারের জন্য রাজের বাড়ি ইন্ডাস্ট্রিতে বিখ্যাত। সব মিলিয়ে রাজ-শুভশ্রী নজর কাড়া সুখী দম্পতি। একমাত্র সন্তান ইউভান তাঁদের সুখ-শান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।