‘চিলেকোঠা’র শুটিংয়ে ব্রাত্য ও ঋত্বিক। ছবি সৌজন্যে: প্রেমাংশু রায়।
তাঁর কাছে ভালবাসার আর এক নাম থিয়েটার। পড়াশোনা করতে করতেই নাটকে হাতেখড়ি। অস্থিমজ্জায় মিশে যাওয়া মঞ্চ প্রেম। কখনও পরিচালনা, কখনও অভিনয়, কখনও বা নাটক লিখেই সেই প্রেমের স্বাদ-পূরণ। তবে ভালবাসা শুধু থিয়েটারে থেমে থাকেনি। তা গড়িয়েছে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের ফিল্মি দুনিয়ায়। তিনি প্রেমাংশু রায়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে প্রেমাংশুর নতুন ছবি ‘চিলেকোঠা’।
আরও পড়ুন, ‘বিলুর জার্নি সকলের সঙ্গেই মিলবে’
প্রথম ছবি ছিল ‘কাটাকুটি’। ‘চিলেকোঠা’ প্রেমাংশুর চতুর্থ ছবি। নামের মধ্যেই যেন লুকিয়ে এক মনকেমন। পরিচালক শেয়ার করলেন, ‘‘চিলেকোঠা এখন আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। হারিয়েছে পাড়ার আড্ডা, পাশের ছাদের প্রেম, ইলিশ-চিংড়ির লড়াই। সে সব থেকে অনেক দূরে এখন আমরা পিত্জা-বার্গারের যুগে বাস করছি। বাংলা ছবি থেকে যেন বাঙালিয়ানা হারিয়ে গিয়েছে। সেই নস্ট্যালজিয়া থেকেই এই ছবি। যেখানে চিলেকোঠা নিজেই একটা চরিত্র।’’
আরও পড়ুন, ‘টলিউড বড় অদ্ভুত, কেউ কারও ভাল চায় না’
মন্বন্তর থেকে নকশাল আন্দোলন— মূলত এই সময়কে ফ্রেমবন্দি করেছেন প্রেমাংশু। ফিরিয়ে এনেছেন বাঙালির হারিয়ে যাওয়া ‘ফুলকাকা’ ডাক। এ ছবিতে ‘ফুলকাকা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাত্য বসু। দেশভাগের সময় ও দেশ থেকে আসা মানুষটার ফুটবল প্রেম, আড্ডা, তার পর নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া…। ভাইপো ‘অনিমেষ’-এর ওপর সব দিক থেকেই প্রভাব ফেলতে থাকেন তিনি। ভাইপোর চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। প্রেমাংশু বললেন, ‘‘এই ছবিতে লোকে বলত, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির তিন বন্ধু। অনিমেষ, ফুলকাকা আর চিলেকোঠা।’’
ঋত্বিককে শট বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরিচালক। ছবি সৌজন্যে: প্রেমাংশু রায়।
গল্প শুরু হচ্ছে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ছেলেবেলার নস্ট্যালজিয়ায় ডুব দিয়েছেন তিনি। সেই ছেলেবেলায় জড়িয়ে ছিলেন ফুলকাকা, পাড়ার পুজো, রাজনীতি, প্রেম… আর চিলেকোঠা। অর্থাত্ এ ছবির বৃদ্ধ ‘অনিমেষ’-এর ভূমিকায় রয়েছেন ধৃতিমান। এ ছাড়াও ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, শর্বরী মুখোপাধ্যায়, প্রমিতা মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় সমৃদ্ধ করেছে এই ছবিকে।