ছবির একটি দৃশ্যে দেবলীনা।
ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠা। সংসারের পরিপাটি কাজ সেরে তবে নিজের সময়। কিন্তু তখন মেয়েটি আর তার উত্তর কলকাতার বাড়িতে নেই। বরং সেই নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে পৌঁছে গিয়েছে অনেক দূরে। মেয়েটির সামনে জ্বলছে গ্যাস। আপাতদৃষ্টিতে সে দাঁড়িয়ে আছে তার রান্নাঘরেই। কিন্তু আদতে মেয়েটি এখন সমুদ্রের ধারে। যেখানে আগুনের খেলা দেখানো হচ্ছে।
অথবা অন্য আর এক দিন। রাত করে বাড়ি ফিরেছে মেয়েটি। সে জন্য কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে স্বামীকে। তখন মেয়েটি আবার পৌঁছে গেল অচেনা এক জায়গায়। যেখানে বরের খবরদারি নেই। নেই কৈফিয়তের চাওয়া-পাওয়া।
কে এই মেয়ে? এর খোঁজ আপনি পাবেন ‘ইউনিকর্ন’-এ। পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় তৃতীয় বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বুনেছেন এই মেয়ের গল্প। বংশ পরম্পরায় যে একটি কাঁথা বোনে। সেই কাঁথার হাত ধরেই কখনও মেয়েটি পৌঁছে যায় সমুদ্রের গভীরে। রঙিন মাছেরা তখন তার প্রতিবেশী। কখনও বা অচেনা কোনও দেশে...।
আরও পড়ুন, মিমি-ঋত্বিকার জন্য ‘ভিলেন’ হলেন অঙ্কুশ, কেন জানেন?
তথাগতকে আপনি চেনেন মূলত অভিনেতা হিসেবে। তবে এর আগেও পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ‘ইউনিকর্ন’ তাঁর প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। তিনি শেয়ার করলেন, ‘‘গল্পের মেয়েটি অর্থাত্ অপলা, বিশ্বাস করে কাঁথাটাই তাকে উদ্ধার করবে। এটা আসলে মুক্তির গল্প। রূপকথার গল্প। আমাদের চারপাশের খাঁচা থেকে মুক্তি। যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন, সারোগেসির মাধ্যমে সিঙ্গল মাদার হলেন শ্রেয়া পাণ্ডে
তথাগত জানালেন, এই প্রথম কোনও বাংলা ছবির শুটিং হল সমুদ্রের নীচে। আন্দামানের হ্যাভলক দ্বীপে শুটিং করেছেন তিনি। এ ছাড়াও অপালার জার্নি দেখানোর জন্য শুটিং হয়েছে ভারত, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘সলিটারি রিপার’কে গান হিসেবে ছবিতে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। চিরঞ্জিত্ চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তের মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি। আপাতত সাবটাইটেলের কাজ চলছে। চলছে রিলিজের আগে শেষ পর্যায়ের ব্যস্ততা। তবে কিছু আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ারের পর ছবিটি রিলিজ করাতে চান তিনি।
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)