ছবি শুটিংয়ে শঙ্করী।
সমপ্রেমকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭৭ ধারা কার্যকরী হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি সমাজ সমপ্রেমকে এখনও মেনে নিতে পারে? প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর আসন্ন ছবি ‘নগরকীর্তন’-এ তৃতীয় লিঙ্গের সহনাগরিকদের যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং ঋদ্ধি সেন অভিনীত এই ছবি। তার আগে মুক্তি পেল ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনি।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘নগরকীর্তন’-এ প্রায় ১৮-২০ জন বৃহন্নলা অভিনয় করেছেন। যাঁদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শঙ্করীকে। পরিচালকের কথায়, ‘‘বৃহন্নলাদের মধ্যে যাঁর নেত্রীসুলভ কর্তৃত্ব থাকে, তাঁকে বলা হয় গুরু মা। শঙ্করী ওই চরিত্রে অভিনয় করছেন।’’
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের শখ শঙ্করীর। অল্প বয়সে বাবাকে হারান। অভাবের সংসারে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা। তবে অভিনয়ের স্বপ্ন ছাড়েননি। শঙ্করীর কথায়, “কৌশিকদার ছবিতে কাজ করা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। প্রথমে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তার পরে কৌশিকদা এবং ওঁর টিমের কয়েক জন বাড়িতে এসে স্ক্রিপ্ট শোনান।’’
আরও পড়ুন, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ নিয়ে রাগ? মুখ খুললেন সারা
ছবিতে ঋদ্ধিকে (পুঁটি) যখন তার বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়, তখন শঙ্করীই প্রথম তাকে আশ্রয় দেন। ক্রমে ঋদ্ধির বৃহন্নলা রূপে আত্মপ্রকাশ, শাড়ি পরা, আদবকায়দা শেখা... সব কিছুই শঙ্করী অভিনীত চরিত্রটির হাত ধরে। ছবি শুরুর আগে বেশ কয়েক দিন রিহার্সাল করতে হয়েছে শঙ্করী ও বাকিদের। কৌশিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।
আরও পড়ুন, নতুন কোন চ্যালেঞ্জের জন্য মার্শাল আর্ট শিখছেন মিমি?
মুক্তির আগেই এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঋদ্ধি সেন। এ ছবির তিনটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে তা বাদ দিতে বাধ্য হন কৌশিক। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, তাতে ছবির কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁরা পাল্টা আপত্তিও জানাননি।
‘নগরকীর্তন’-এ অভিনয়ের জন্যই ওজন বাড়াতে হয়েছিল ঋত্বিককে। আর ঋদ্ধির কাছে অভিনয়ের রেফারেন্স হিসেবে ছিল ‘দ্য ড্যানিশ গার্ল’। ঋদ্ধির কেরিয়ারে এই ছবি নিঃসন্দেহে এক নতুন মাইলস্টোন।
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)