যারা যুদ্ধ চান তাদের সীমান্তে পাঠানো উচিত: সলমন খান

সলমনের নতুন ছবি ‘টিউবলাইট’-এর প্রেক্ষাপট ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওই ছবির প্রচারে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেই সূত্রেই ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৪:৪৩
Share:

সলমন খান

কেন্দ্রে মোদী সরকার যখন চড়া সুরের জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেমের প্রচারে ব্যস্ত, সেই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিতর্কে জড়ানোর অভ্যাস বজায় রাখলেন সলমন খান।

Advertisement

এর আগে যখন ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছিল, তখনও তার বিরোধিতা করেছিলেন সলমন। বলেছিলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী ও শিল্পীদের মধ্যে ফারাক আছে।’’ বুধবার তাঁর নতুন ছবির প্রচারে সল্লুভাই বলে বসেন, ‘‘যারা যুদ্ধের জন্য নির্দেশ দেয়, সবার আগে তাদের লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া উচিত। হাত-পা কাঁপতে শুরু করবে, এক দিনেই সব যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। নিজেরাই আলোচনা চাইবে।’’

সলমনের নতুন ছবি ‘টিউবলাইট’-এর প্রেক্ষাপট ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওই ছবির প্রচারে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেই সূত্রেই ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়। তাতেই সলমন বলেন, তিনি আরও বলেন, ‘‘যুদ্ধে খালি একটি দেশের ক্ষতি হয় না। সীমান্তের দু’দিকের মানুষই সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সলমনের ভাই সোহেল খান। দাদার বক্তব্যকে সমর্থন করেন তিনি। ছেলের মন্তব্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন সলমনের বাবা সেলিম খানও। এর আগে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সময় সলমন যখন তার বিরোধিতা করেছিলেন, সেলিম তখন ছেলের হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এ দিন কিন্তু তিনি ভাইজানের পাশেই।

Advertisement

যদিও সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতে না হতেই সলমনকে বিঁধে শিবসেনা সাংসদ আরবিন্দ সবন্ত বলেন, ‘‘উনি (সলমন) যে ভাবে বলেছেন, তা আপত্তিজনক। শান্তি সবাই চায়। উনি বারবার লক্ষ্মণরেখা পেরোন কেন?’’ এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিকও মনে করেন, এগুলো সলমনের প্রচার কৌশল মাত্র। কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা অবশ্য বলেছেন, ‘‘শান্তির পক্ষে সলমনের বক্তব্য সংবেদনশীল ও পরিণত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement