প্রসঙ্গত, সে সময়ে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। নানা জায়গায় ছড়িয়ে-পড়া সেই ভিডিয়ো সম্পর্কে একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলেছিল, ওড়িশার সম্বলপুরের এক প্রেক্ষাগৃহে জোর করে এক দল গুণ্ডা ‘বচ্চন পাণ্ডে’র প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের দাবি, প্রেক্ষাগৃহে শুধু বিবেকের ছবিই দেখানো হবে।
অক্ষয়-বিবেক
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। গত ১১ মার্চ ছবিটির মুক্তির পরেই প্রচারে নেমেছিলেন একাধিক বলিতারকা। কঙ্গনা রানাউত থেকে শুরু করে ইয়ামি গৌতম, অক্ষয় কুমার, পরেশ রাওয়াল প্রমুখ। কেবল তা-ই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও প্রশংসা কুড়োন ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ১৯৯০ নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হন শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত। সেই ঘটনাপ্রবাহকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। ছবিতে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার, পল্লবী যোশী প্রমুখ। বিভিন্ন কারণে সেই ছবি ঘিরে বারবার বিতর্কও দানা বেঁধেছে।
আচমকা নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন পরিচালক বিবেক স্বয়ং। ক্ষোভ উগরে দিলেন অক্ষয় কুমারের বিরুদ্ধে। সবাইকে চমকে দিয়ে নিন্দা করলেন বলিতারকার। বিবেকের মতে, বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে তাঁর ছবির প্রশংসা করেছেন অক্ষয়! কেন এমন মনে হয়েছে বিবেকের?
বিবেক বলেছেন, ‘‘১০০ জন লোক ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসা করেছেন, আমার ছবি কেন চলছে, ওঁর ছবি (বচ্চন পাণ্ডে) কেন চলছে না বা আমার ছবি কেমন লেগেছে! সেই সময়ে প্রশংসা না করে উপায় কী? তাই নিরুপায় হয়ে অক্ষয় আমার ছবিকে ভাল বলেছেন। আর যেখানে তিনি প্রশংসা করেছেন, ভোপালের সেই অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম।’’মার্চ মাসে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অক্ষয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন বিবেক। যেখানে অক্ষয় বলেন, ‘‘সব ছবিতেই দেশের কোনও না কোনও গল্প উঠে আসে। যেমন বিবেকজির ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে দেশের এক দুঃখজনক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে...।’’ কয়েক মুহূর্ত থেমে অক্ষয় হাল্কা হেসে আবার বলে উঠেছিলেন, ‘‘আমার ছবিকেও ডুবিয়ে দিল! সে না হয় অন্য কথা।’’
সে সময়ে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। নানা জায়গায় ছড়িয়ে-পড়া সেই ভিডিয়ো সম্পর্কে একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলেছিল, ওড়িশার সম্বলপুরের এক প্রেক্ষাগৃহে জোর করে এক দল গুণ্ডা অক্ষয়ের ‘বচ্চন পাণ্ডে’র প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের দাবি, প্রেক্ষাগৃহে শুধু বিবেকের ছবিই দেখানো হবে। পরে মাল্টিপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ঘটনা সম্পর্কে সবিস্তার জানানো হয় সংবাদমাধ্যমকে। কর্তৃপক্ষ আক্ষেপ করে বলেন, “এই মুহূর্তে কিছুই স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। যে কোনও সময়ে যা খুশি ঘটতে পারে। ছবি দেখার বা দেখানোর স্বাধীনতাটুকুও এ দেশের বাসিন্দাদের নেই!’’